নিজের বাড়ির বাস্তু নিজেই পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। প্রথমেই দেখুন ঘরের কোন দিন কি রেখেছেন।
জীবন সুখের হয় বাস্তুর গুণে। কিন্তু অনেক সময় বাস্তুতেই থাকে দোষ। তাতে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আশান্তু লেগেই থাকে। আর্থিক সমস্যা তৈরি হয়। সদস্যদের মধ্যে বাড়তে থাকে হতাশা। তাই বাস্তু দোষ কাটাতে অনেকেই অনেক কিছু করেন। তবে আপনার বাস্তুতে কোনও দোষ রয়েছে কিনা তা ধরা যায় সহজ একটি পরীক্ষা করলে। আরও খুললে বললে বলা ভাল বাস্তু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
নিজের বাড়ির বাস্তু নিজেই পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। প্রথমেই দেখুন ঘরের কোন দিন কি রেখেছেন। পাশাপাশি বাড়ির প্রবেশ দরজার দিকে সর্বদা নজর দিন। বাড়ির চারপাশও খেয়াল করুন। বাড়ির ভিরত আর বাইরে কোনও আবর্জনা জমতে দেবেন না। তাতে বাড়িতে নেগেটিভ এনার্জি বাড়ে। ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখলে পজেটিভ এনার্জি বাড়ে।
বাস্তু অনুযায়ী দিক নির্বাচনঃ
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাডির উত্তর-পূর্ব দিক সর্বদা খোলামেলা রাখা উচিৎ। বাড়ির এই দুটি দিকে সর্বদা পরিচ্ছন্ন রাখুন। তাতে বাড়িতে পজেটিভ এনার্জি বাড়বে। সংসারের আশান্তি কমবে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে হৃদ্যতা বাড়বে।
উত্তর-পশ্চিম দিকে বসার ঘর করুন। অতিথিকে কখনও প্রথমেই ঘরে নিয়ে যাবেন না। তাতে পরিবারের সমস্যা তৈরি হতে পারে। এই দিকে গাড়ি, সাইকেলও রাখতে পারেন।
যে কোনও বাড়ির অনেকটাই নির্ভর করে রান্নাঘরের ওপর। রান্নাঘর সর্বদা পরিষ্কার রাখুন। রান্নাঘর কিন্তু আর্থিক অবস্থার উন্নতি করতে পারে। রান্নাঘরে কখনই ঝুলকালি জমতে দেবেন না। রান্নাঘরে পূর্ব দিকে হওয়া ভাল। রান্নাঘরে যাতে আলো আর হাওয়া প্রবেশ করে তার ব্যবস্থা প্রথম থেকেই করুন।
শোয়ার ঘরের ওপর নির্ভর করে পারিবারিক সম্পর্ক। বাড়ির দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব দিকে শোয়ার ঘর রাখতে পারেন। শোয়ার ঘরের রঙ কখনই ডিপ করবেন না। শোয়ার ঘরে এমন জায়গায় আয়না রাখুন যাতে খাটের প্রতিবিম্ব না পড়ে।
পড়ার ঘর রাখুন বাড়ির উত্তর ও উত্তর -পশ্চিম দিকে। পড়ার ঘরে পূর্ব দিকে পড়ার টেবিল রাখুন। তাতে মনোসংযোগ বাড়ে। অন্যদিকে পড়াও পরিষ্কার রাখা জরুরি।
বাড়ির মধ্যখান সর্বদা পরিচ্ছন্ন রাখুন। সেখানে ভারি কোনও আসবাপ রাখবেন না।