এই দিনে লোকেরা বাড়ির সমৃদ্ধির জন্য অনেক বাস্তু প্রতিকারও চেষ্টা করে। এমন কিছু বাস্তু টিপস সম্পর্কে জানুন যা আপনি দোলের দিনে মেনে চলতে পারেন।
কয়েক মুহূর্তের জন্য নিজের জীবনেকে রাঙিয়ে তোলা বা সব কিছু ভুলে কয়েক ঘন্টার জন্য সব কিছু মিলিয়ে আনন্দে বাঁচার রসদ জোগায় এই উৎসব। হোলি উত্সব বিশ্বের বৃহত্তম রঙের উৎসব, বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে পরিচিত। কেউ আবিরের রঙে কেউ আবার বাদুরে রঙ মেখে এই আনন্দের কিছু মুহূর্ত একেবারে নিঙরে নিতে চান। সারা দেশে ধুমধাম করে পালিত হয় দোল উৎসব। এটা বিশ্বাস করা হয় যে দোলে মন্দের উপর ভালোর জয় হয়। হোলিকার আগুনে সকল প্রকার বিভেদ দূর হয়।
বাঙালির দোল আর অবাঙালির হোলি, রঙের উৎসবে মেতে ওঠেন সকলেই। দুইদিন ব্যাপী মহাসমারোহে পালিত হয় এই দোলযাত্রা উৎসব। বাঙালির বারো মাসে তোরো পর্বনের মধ্যে অন্যতম বড় উৎসব হল দোলযাত্রা উৎসব। ছোট থেকে বড় এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। কবে আসবে এই দিন। এই দিনে লোকেরা বাড়ির সমৃদ্ধির জন্য অনেক বাস্তু প্রতিকারও চেষ্টা করে। এমন কিছু বাস্তু টিপস সম্পর্কে জানুন যা আপনি দোলের দিনে মেনে চলতে পারেন।
উত্তর-পূর্ব পরিষ্কার করুন
দোলের আগে বাড়ির প্রতিটি কোণ ভাল করে পরিষ্কার করুন। দোলে ঘর পরিষ্কার করা সমস্ত নেতিবাচক শক্তি দূর করতে সাহায্য করতে পারে। ঘরের উত্তর-পূর্ব কোণ যেন নোংরা না হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে ঈশ্বর উত্তর-পূর্ব দিকে বাস করেন। বাস্তু নিয়ম অনুযায়ী এই স্থানটি সঠিকভাবে পরিষ্কার না করলে আপনার বাড়িতে সমৃদ্ধি আসে না।
হোলিকা দহনের সময় এই কাজটি করুন
আপনি যদি হোলিকা দহনে তাজা এবং কাঁচা গম নিবেদন করেন তবে তা আপনার বাড়ির জন্য খুব শুভ বলে মনে করা হয়। এই প্রতিকারে ঘরের সমস্ত নেতিবাচক শক্তি দূরে চলে যায়। বাড়ির চারপাশে ইতিবাচক শক্তি বাস করে। এই দিনে হোলিকার অন্তত সাতটি পরিক্রমা করুন এবং এর আগুন ঘরে এনে উত্তর-পূর্ব দিকে রাখুন। এই প্রতিকারে আপনার বাড়িতে সর্বদা সুখ থাকবে।
ভাঙা জিনিস ঘর থেকে বের করে দিন
ভুল করেও হোলিকা দহনের সময় ভাঙা আসবাবপত্র রাখা উচিত নয়। ঘরে খারাপ কিছু হলে সঙ্গে সঙ্গে তা ঘর থেকে বের করে দিন। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, পুরানো এবং ভাঙা জিনিসগুলিতে নেতিবাচক শক্তি থাকে, তাই তাদের ঘর থেকে সরিয়ে দেওয়া ভাল বলে মনে করা হয়।