হিন্দু ধর্মে তুলসী একটু শুভ গাছ। এই গাছের পাতা ছাড়া পুজো অনেক সময়ই আসম্পূর্ণ থেকে যায়। ভগবান বিষ্ণুর প্রিয়।
হিন্দু শাস্ত্রে তুলসী গাছের গুরুত্ব অনেক। বিশ্বাস করা হয়, তুলসী হল বিষ্ণুর স্ত্রী। আর সেই কারণে তুলসীকে তুষ্ট করতে পারেলে ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ পাওয়া যায়। তাতেই অনেক মানুষের ঘুমন্ত ভাগ্য জেগে ওঠে। জীবনে সুখ আর সমৃদ্ধি আসে। সুখের হয় দাম্পত্য জীবন।
হিন্দু ধর্মে তুলসী একটু শুভ গাছ। এই গাছের পাতা ছাড়া পুজো অনেক সময়ই আসম্পূর্ণ থেকে যায়। ভগবান বিষ্ণুর প্রিয়। বাস্তু অনুযায়ী যে বাড়িতে তুলসী গাছ থাকে সেই বাড়িতে ভগবানের কৃপা পড়ে। জ্যোতিষ অনুযায়ী এই গাছ খুবই শ্রেয়। পরিবারের ওপর সংকট এলে তার লক্ষ্ণণ ফুটে ওঠে তুলসী গাছে। অনেকেই বিশ্বাস করে সংকট মোচন হিসেব কাজ করে তুলসী। অনেকেই তুলসী গাছকে অলৌকিক শক্তিধারী গাছ বলেও মনে করেন।
জ্যোতিষ অনুযায়ী তুলসী গাছের কতগুলি প্রতিকার রইলঃ
জ্যোতিষ অনুযায়ী দেবী লক্ষ্মীর পাশাপাশি ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ পেতে একাদশী তিথি ও রবিবার ছাড়া নিয়মিত তুলসী গাছে দুল আর জল মিশিয়ে নিবেদন করুন। এতে শুভ ফল পাওয়া যায় বলে বিশ্বাস করা হয়।
জ্যোতিষ অনুযায়ী তুলসী গাছ যদি লাল সুতো গিয়ে বেঁধে দেওয়া যায় তাতেও শুভ ফল পাওয়া যায়। বিশ্বাস করা হত এতে দেবী লক্ষ্মীর কৃপায় সম্পদ লাভ হয়। পরিবার সমৃদ্ধি হয়।
জ্যোতিষ অনুযায়ী বিশ্বাস করা হয় মনের ইচ্ছে পুরণের জন্য তুলসী গাছে হলুদ সুতো বেঁধে দিতে পারেন। তাহলে ভগবান বিষ্ণুর কৃপায় মনের ইচ্ছে পুরণ হবে। জীবনে আটকে তাকা কাজ এগিয়ে যাবে। একাধিক বাধা কাটবে। তবে ইচ্ছে পুরণ হলে অবস্যই সুতো খুলে নদীর জলে ভাসিয়ে দেবেন। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এটি করলে ভগবান বিষ্ণুর পাশাপাশি মা লক্ষ্মীও প্রসন্ন হন এবং ব্যক্তির ঘর সর্বদা ধন-সম্পদে পরিপূর্ণ থাকে। সাফল্যের পথ সহজ হয়ে যায়। জীবন সর্বদা সুখ-সমৃদ্ধি ও সমৃদ্ধিতে থাকে।
আখের রস নিবেদন করলে বাড়ির নেতিবাচক শক্তির প্রভাব কেটে যায়। বাস্তু শাস্ত্র মতে প্রতি মাসের পঞ্চম দিনে তুলসী গাছে আখের রস নিবেদন করতে হবে। তাতে মানুষের ইচ্ছে পুরণ হয়। বাধা মুক্ত হয় জীবন।