বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, নির্দিষ্ট কিছু শব্দ বাড়ির পরিবেশকে প্রভাবিত করে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই ধ্বনিগুলো কী যা ঘরের পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়িতে রাখা সমস্ত কিছুর প্রভাব পড়ে সদস্যদের ওপর। এই বস্তুগুলির নিজস্ব নেতিবাচক এবং ইতিবাচক শক্তি রয়েছে যা বাড়ির সদস্যদের উন্নতি এবং পরিবেশকে প্রভাবিত করে। এ ছাড়া বাড়ির ভিতরে হওয়া কিছু শব্দ এই ধরণের পরিবেশকে বেশ প্রভাবিত করে। ঘরে মোবাইল ফোন, ডোরবেল, ঘড়ি এবং অন্যান্য শব্দ উৎপাদক বস্তু রয়েছে। এই শব্দগুলি বাড়ির পরিবেশের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, নির্দিষ্ট কিছু শব্দ বাড়ির পরিবেশকে প্রভাবিত করে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই ধ্বনিগুলো কী যা ঘরের পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
মোবাইলে জোরে রিংটোন
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, কিছু লোক তাদের বাড়িতে খুব জোরে বাজতে থাকা রিং টোন সেট করে থাকেন। তবে এর শব্দ ঘরে নেতিবাচক শক্তির প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। বাড়িতে এ ধরনের কোলাহলের কারণে সদস্যদের মধ্যে কলহ ও দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকে।
কর্কশ ডোরবেল
ঘরে এমন ডোরবেল লাগানো উচিত নয় যার শব্দ কানে শ্রুতিমধুর নয়। এই ধরনের আওয়াজ ঘরে নেতিবাচকতা বাড়ায়। ঘরে এই ধরনের ডোরবেল লাগালে নেতিবাচক শক্তি বাড়তে শুরু করে।
দরজা এবং জানালার শব্দ
অনেক সময় ঘরের জানালা-দরজা বন্ধ করার সময়ও খটখট শব্দ শোনা যায়। বাস্তু বিশ্বাস অনুসারে, এই ধরনের ধ্বনি ঘরে বাস্তু ত্রুটি সৃষ্টি করে এবং দুঃখ ও দুর্ভাগ্যের কারণ হয়। অতএব, বাড়িতে এই ধরনের শব্দ থাকলে অবিলম্বে তা থামান।
এছাড়াও ঘরের দরজায় লাগানো ঘড়িকেও শুভ বলে মনে করা হয় না। ভাঙা বা আটকে থাকা ঘড়িও ঘরে রাখা উচিত নয়। এটি ঘরে নেতিবাচকতা দেখায়।
ঘর নোংরা রাখা এবং প্রতিদিন পরিষ্কার না করাও নেতিবাচক শক্তি বাড়ায়। তাই ঘর সবসময় পরিষ্কার রাখুন।
ঘরে অন্ধকার থাকাও শুভ বলে মনে করা হয় না। অন্ধকার ঘরে নেতিবাচক শক্তির প্রবাহও বাড়িয়ে দেয়।