আর্থিক অনটন কেটে যায়। পুজোর আগে থেকে এই নিয়মগুলি মেনে চললে উপকার পাবেন।
পরিবারের শান্তি আর সমৃদ্ধি সকলেই চায়। মূলত এই দুটি জিনিসের ওপর নির্ভর করে সংসারের সুখ আর স্বাচ্ছন্দ্য। বাড়িতে শান্তি আর সমৃদ্ধির জন্য বাস্তুশাস্ত্র কতগুলি গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের কথা বলা হয়েছে। সেগুলি মেনে চললে সুখ আর সমৃদ্ধি আসতে পারে। আর্থিক অনটন কেটে যায়। পুজোর আগে থেকে এই নিয়মগুলি মেনে চললে উপকার পাবেন।
১. বাড়ি গুছিয়ে রাখুন
বাড়িতে শান্তি আর সমৃদ্ধি আনার জন্য সবার আগে বাড়ি ঘর পরিষ্কার করে রাখা জরুরি। তাতে মনের শান্তি সবার আগে আসে। মনের শান্তি না থাকলে কোথাও শান্তি খুঁজে পাওয়া যায় না। ঘরে জিনিসপত্র ঘাঁটা থাকলে আশান্তি বা অস্বস্তি বেড়ে যায়।
২. ফেংশুই
ফেং শুই এবং বাস্তুশাস্ত্র হল প্রাচীন অভ্যাস যা একটি শক্তিশালী ভারসাম্যপূর্ণ বাড়ি তৈরির জন্য নির্দেশিকা প্রদান করে। তাদের নীতিগুলি অনুসরণ করুন, যেমন আপনার বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব কোণে বা সম্পদ অঞ্চলে (বাস্তুর "কুবের" অঞ্চল) একটি মানি প্ল্যান্ট বা সম্পদের বাটিগুলির মতো সম্পদের প্রতীক স্থাপন করা।
৩. সমৃদ্ধি বেদী
আপনির বাড়িতে একটি সমৃদ্ধি বেদী স্থাপন করুন। বাড়ির দক্ষিণ-পূর্বে সেটি স্থাপন করুন। সেকানে প্রাচুর্যের প্রতীক- স্ফটিক, একটি মুদ্রা রেখে দিন। পুজোর দিনগুলিতে সেখানটা সাজিয়ে দিন।
৪. সম্পদ বর্ধক রং
যে রঙগুলি সম্পদের সঙ্গে যুক্ত সেই রঙ দিয়ে ঘর সাজান। লাল, সবুজ, বেগুনি বা সোনালি রঙের জিনিস দিয়ে ঘর সাজান। দেওয়ালেও এই রঙগুলি ব্যবহার করতে পারেন।
৫. ঘর পরিষ্কার
ঘরবাড়ি পরিষ্কার করে রাখুন। ঘরের সর্বদা প্রয়োজনীয় মেরামতি করবেন। দেওয়ালে ফাটা দাগ বা মেঝেতে ফাটা দাগ অশুভ প্রতীক। তাতে সম্পদের দেবী কিন্তু মুখ ফিরিয়ে থাকে।
৬. আয়না ব্যবহার
গৃহস্থের ঘরে আয়না সবসময়ই থাকে। কিন্তু আয়না ব্যবহারের বাস্তু নিয়ম রয়েছে। সেগুলি সর্বদা মেনে চলুন। তাতে পরিবারে শান্তি আর আর্থিক সমৃদ্ধি বজায় থাকবে।
৭. গাছপালা
বাড়িতে গাছপালা রাখা সুখ আর সমৃদ্ধির প্রতীক। তবে বাস্তু অনুযায়ী গাছ ঘরে রাখুন। মানিপ্ল্যান্ট বা ফেতবাম্বু দিয়ে ঘর সাজাতে পারেন। এজাতীয় গাছের বৃদ্ধি আর্থিক মঙ্গলের প্রতীক।
৮. সমৃদ্ধির প্রতীক
বাড়িতে সর্বদা দেবী লক্ষ্মীর মূর্তি রাখুন। মা লক্ষ্মী কিন্তু সমৃদ্ধির প্রতীক। বিশ্বাস করা হয় দেবী বাড়িতে আর্থিক সমস্যা দূর করার ক্ষমতা রাখেন।
৯. বিল ও অন্যান্য কাগজ বাড়িতে সমৃদ্ধি আনার জন্য বিল ও আর্থিক বিষয় সংক্রান্ত নথিগুলি গুছিয়ে রাখুন। তাতে আর্থিক চাপ কমবে।
১০. প্রাচুর্যের জন্য কৃতজ্ঞ
আপনার কাছে যে সম্পদ রয়েছে তার জন্য দেবতার কাছে ও পরিবারের বাকি সদস্যদের কাছে নিজের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। তাতে আরও সম্পদ আসবে। সম্পদ নিয়ে কখনও অহংকার করবেন না।