
শারদী নবরাত্রি ২০২৫: নবরাত্রির সময়, গর্ভবতী মহিলাকে খারাপ নজর এবং নেতিবাচক শক্তি থেকে রক্ষা করার জন্য একটি কালো সুতো বাঁধা হয়, যা মা এবং শিশু উভয়েরই সুরক্ষা এবং সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে।
নবরাত্রির সময়, গর্ভবতী মহিলাদের খারাপ নজর থেকে রক্ষা করার জন্য এবং শিশুর স্বাস্থ্য এবং নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত করার জন্য একটি কালো সুতো পরতে বলা হয়। খারাপ নজর থেকে সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য উপকারের জন্য কাজল ব্যবহার করা হয়।
নবরাত্রির সময় গর্ভবতী মহিলাকে কালো সুতো বাঁধা হয় মূলত খারাপ নজর এবং নেতিবাচক শক্তি থেকে রক্ষা করার জন্য, কারণ এটি একটি শক্তিশালী তাবিজ হিসাবে কাজ করে এবং ইতিবাচক শক্তি আকর্ষণ করে, গর্ভবতী মহিলা এবং অনাগত শিশুকে রক্ষা করে বলে বিশ্বাস করা হয়।
এটি শারীরিক ব্যথা উপশম করতেও সাহায্য করে।
বিশ্বাস করা হয় যে কালো সুতো একটি শক্তিশালী তাবিজ, যা নেতিবাচক শক্তিকে দূরে রাখে এবং পরার ব্যক্তিকে কুদৃষ্টি থেকে রক্ষা করে, মা ও সন্তানকে সুরক্ষিত রাখে।
এটি শরীরে ইতিবাচক শক্তি সঞ্চালন করে এবং শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখে, ক্লান্তি এবং দুর্বলতা প্রতিরোধ করে।
বিশ্বাস অনুসারে, পায়ে কালো সুতো পরলে গর্ভাবস্থায় পায়ের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
কালো রঙ শনিদেবের প্রিয়, তাই কালো সুতো পরলে শনির আশীর্বাদ বজায় থাকে এবং শনির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
নবরাত্রিতে গর্ভবতী মহিলাদের কাজল পরার কোনও ঐতিহ্যবাহী বা বৈজ্ঞানিক কারণ নেই। এটি কেবল একটি কুসংস্কার যে কাজল পরলে শিশুর দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয়, তাদের চোখের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় এবং তাদের কুদৃষ্টি থেকে রক্ষা করে।
প্রাচীনকাল থেকে, শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক উভয়ই তাদের চোখে কাজল লাগিয়ে আসছে যাতে তারা তাদের কুদৃষ্টি এবং নেতিবাচক শক্তির প্রভাব থেকে রক্ষা পায়।
কাজল পরলে মন শান্ত থাকবে এবং শারীরিক ও মানসিক সুরক্ষা প্রদান করে।
ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে, এটি শিশুকে খারাপ নজর থেকে রক্ষা করার জন্যও ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে নবরাত্রির সময়।