একই গোত্রে বিয়ে কেন হয় না? জেনে নিন এর বৈজ্ঞানিক ও ধর্মীয় কারণ

Published : Nov 10, 2025, 06:01 PM IST
একই গোত্রে বিয়ে কেন হয় না? জেনে নিন এর বৈজ্ঞানিক ও ধর্মীয় কারণ

সংক্ষিপ্ত

গোত্র বিবাহের অর্থ: গোত্র বলতে ব্যক্তির বংশ এবং ঋষি পরম্পরার সঙ্গে সংযোগ বোঝায়। একই গোত্রের মানুষরা একই পূর্বপুরুষের বংশধর বলে মনে করা হয়, তাই হিন্দু ধর্মে একই গোত্রে বিবাহ নিষিদ্ধ।

গোত্র বিবাহের মিথ এবং তথ্য: হিন্দু ধর্মে জ্যোতিষশাস্ত্রের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। জ্যোতিষশাস্ত্রের মাধ্যমে ব্যক্তির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনুমান করা যায়। রাশি এবং কুলদেবীর মতোই গোত্রেরও অনেক গুরুত্ব রয়েছে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে চলে আসা গোত্রের ধারণা আজও খুব গুরুত্বপূর্ণ। একই গোত্রে বিয়ে করা নিষিদ্ধ বলে মনে করা হয়, কারণ এমনটা করা নিজেরই বংশ বা কূলে বিয়ে করার সমান। চলুন জেনে নেওয়া যাক, ধর্ম ও বিজ্ঞান উভয় দৃষ্টিকোণ থেকে কেন একই গোত্রে বিয়ে করা হয় না।

গোত্র কী?

হিন্দু ধর্মে গোত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। বলা হয় যে ঋষিদের সময়ে এই গোত্রের সৃষ্টি হয়েছিল, কিন্তু প্রশ্ন হল এই গোত্র আসলে কী? গোত্র হল বংশের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি ধারণা। গোত্রের ভিত্তিতে ব্যক্তির বংশ, মূল স্থান এবং কোনো বিশেষ ঋষির বংশধর হওয়ার বিষয়টি জানা যায়।

ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ে এর ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়

বিশেষ করে ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ে, বর-কনের বিয়ের প্রস্তুতির সময় গোত্রের ধারণার ওপর খুব বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। সাধারণত একই গোত্রের পরিবারগুলিতে বিয়ে হয় না। বলা হয় যে একটি গোত্র একটি বংশের প্রতিনিধিত্ব করে। ব্রাহ্মণ সম্প্রদায় গোত্রকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে কারণ ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের উৎপত্তি ঋষিদের বংশ থেকে হয়েছে। তাই, ব্রাহ্মণ সম্প্রদায় গোত্রকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়।

গোত্রের সৃষ্টি কীভাবে হয়েছিল

সনাতন হিন্দু পুরাণ অনুসারে, গোত্র পরম্পরার উৎপত্তি চারজন ঋষির নাম থেকে হয়েছিল - অঙ্গিরা, কশ্যপ, বশিষ্ঠ এবং ভৃগু। এই ঋষিদের বংশ বাড়ার সাথে সাথে পরবর্তী প্রজন্মের গোত্রগুলি এই চার ঋষির নামেই পরিচিত হতে থাকে। এর সাথে আরও চারটি গোত্র যুক্ত হয়: অত্রি, জমদগ্নি, বিশ্বামিত্র এবং অগস্ত্য। যেহেতু একই গোত্রের পুত্র ও কন্যারা একই পূর্বপুরুষের বংশধর, তাই তাদের ভাই-বোন হিসেবে গণ্য করা হয়। এই কারণে, হিন্দু ধর্মে এমন বিধান রয়েছে যে একই গোত্রের ছেলে ও মেয়ের বিয়ে হওয়া উচিত নয়।

গোত্র জানা না থাকলে কাশ্যপ গোত্র ধরা হয়

যখন গোত্র জানা থাকে না, তখন ব্রাহ্মণ বর্ণের ব্যক্তি কাশ্যপ গোত্র ব্যবহার করেন। এর কারণ হল ঋষি কশ্যপ একজন ব্যক্তির সাথে বিবাহ করেছিলেন এবং তাঁর অনেক সন্তান ছিল। তাই, যারা নিজেদের গোত্র জানেন না, তারা কাশ্যপ গোত্র ব্যবহার করেন। গোত্রের ধারণা একসময় খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কিন্তু আজকের যুগে গোত্র কেবল বৈবাহিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেই দেখা হয়। তাই, বর্তমান যুগে গোত্রের ধারণা ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

সাধারণ জিজ্ঞাস্য প্রশ্ন

হিন্দু ধর্মে গোত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। বলা হয় যে ঋষিদের সময়ে এই গোত্রের সৃষ্টি হয়েছিল। প্রাচীন হিন্দু পুরাণ অনুসারে, গোত্র পরম্পরার উৎপত্তি চারজন ঋষি: অঙ্গিরা, কশ্যপ, বশিষ্ঠ এবং ভৃগু-র নাম থেকে হয়েছিল। এই ঋষিদের বংশ বাড়ার সাথে সাথে পরবর্তী প্রজন্মের গোত্রগুলি এই চার ঋষির নামেই পরিচিত হতে থাকে।

Disclaimer: এই আর্টিকেলে থাকা তথ্য ধর্মীয় গ্রন্থ, পণ্ডিত এবং জ্যোতিষীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। আমরা কেবল এই তথ্য আপনার কাছে পৌঁছে দেওয়ার একটি মাধ্যম। পাঠকরা এই তথ্যগুলিকে কেবল তথ্য হিসেবেই গ্রহণ করুন।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

জানেন কী ভগবান বিষ্ণুর কত জন কন্যা, কী তাদের নাম? জানুন এই অজানা তথ্য
২০২৬ সালে ১৩ মাসে বছর! ৬০ দিনে শেষ হবে এই মাস! জানুন এর তাৎপর্য ও গুরুত্ব