
বিন্দিয়ারানী দেবীর হাত ধরে কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের ঝুলিতে এল চতুর্থ পদক। ভারোত্তোলনের ৫৫ কেজি বিভাগে রেকর্ড গড়ে রূপো জিতলেন তিনি। কমনওয়েল গেমসের দ্বিতীয় দিনটা গেল ভারোত্তোলকদের নামে। ভারোত্তোলনের ৫৫ কেজি বিভাগে সংকেত সারগরের রূপো জয় দিয়ে কমনওয়েলথে পদকের খাতা খোলে ভারত। এরপর ৬১ কেজি বিভাগে দেশকে ব্রোঞ্জ এনে দেন গুরুরাজা পূজারি। তারপর খোলে সোনার ভাগ্য। ৪৯ কেজি বিভাগে টোকিও অলিম্পিকে রূপো জয়ী মীরাবাই চানু কমনওয়েলথ ২০২২-এ দেশকে প্রথম সোনা এনে দেন। এখানেইই শেষ হয়নি। শনিবার মধ্যরাতে সেই ভারোত্তোলনেই দেশকে চতুর্থ পদক একইসঙ্গে দ্বিতীয় রূপো এনে দিলেন বিন্দিয়ারানী দেবী।
একটুর জন্য লোনা হাতছাড়া হলেও বিন্দিয়ারানির রূপো জয়ে গর্বিত গোটা দেশ। প্রতিযোগিতায় প্রথম থেকেই ছন্দে ছিলেন তিনি। ৫৫ কেজির ক্লিন এবং জার্ক বিভাগে প্রথম চেষ্টায় ১১০ কিলো তুলেছিলেন বিন্দিয়ারানি। দ্বিতীয় বার ১১৪ কিলো তুলতে গিয়ে ব্যর্থ হন। শেষ বার তিনি যখন ভারোত্তোলন করতে আসছেন সেই সময় তিনি ছিলেন তৃতীয় স্থানে। শেষ প্রতিযোগী ছিলেন তিনি। রুপো জয়ের চেষ্টায় ১১৬ কিলো তোলার সিদ্ধান্ত নেন বিন্দিয়ারানি। ভাগ্য সব সময় সাহসীদের সঙ্গ দেয় বলে শোনা যায়। বিন্দিয়ারানি সাহস দেখালেন ১১৬ কিলো তোলার। তুললেন। রুপো জিতে নিলেন তিনি। তৃতীয় প্রচেষ্টায় ১১৬ কিলো তোলাটা কতটা কঠিন সেটা সকলেই জানেন। নিজের উপর আস্থা রেখে সেই কাজটিই করে দেখালেন বিন্দিয়ারানি। কমনওয়েলথ গেমসের মঞ্চে রেকর্ড গড়ে দেশকে গর্বিত করলেন তিনি।
বিন্দিয়ারানির সাফল্যের পর তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন,'কমনওয়েলথ গেমস বার্মিংহামে রূপো পদক জেতার জন্য বিন্দিয়ারানি দেবীকে অভিনন্দন। এই কৃতিত্ব তার দৃঢ়তার বহিঃপ্রকাশ এবং এটি প্রত্যেক ভারতীয়কে খুব খুশি করেছে। আমি তার ভবিষ্যত প্রচেষ্টার জন্য তার শুভ কামনা করি।' প্রধানমন্ত্রীর করা ট্যুইট রিট্যুইট করে বিন্দিয়ারানিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।
প্রসঙ্গত, ৫৫ কেজি বিভাগে বিন্দিয়ারানি রূপো জয় ছাড়াও এই বিভাগে সোনা জিতেছেন নাইজেরিয়ার আদিজাত আদেনিকে। তিনি মোট ২০৩ কিলো তোলেন। ২০২ কিলো তুলে দ্বিতীয় বিন্দিয়ারানি। তৃতীয় স্থানে ইংল্যান্ডের ফ্রেয়ার মোরো। তিনি ১৯৮ কিলো তোলেন। রূপো জয়ের পর থেকেই শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসছেন বিন্দিয়ররানি।