
বজরং পুনিয়ার সোনা জয়ের রেশ কাটতে না কাটতেই কমনওয়েলথ গেমসের অষ্টম দিনে ভারতের ঝুলিতে কুস্তিতে এল আরও একটি গোল্ড মেডেল। দেশকে সোনা উপহার দিলেন মহিলা তারকা কুস্তিগীর সাক্ষী মালিক। মেয়েদের ফ্রি স্টাইল কুস্তির ৬২ কেজি বিভাগে সোনা জিতলেন ভারতীয় মহিলা তারকা কুস্তিগীর। ফাইনালে কানাডার অ্যানা গডিনেজ গঞ্জালেজকে হারিয়ে সোনা জেতেন সাক্ষী মালিক। কমনওয়েলথে এই প্রথম সাক্ষী সোনা জয় হলেও পরপর তিনটি কমনওয়েলথে পদক জিতলেন ভারতীয় তারকা কুস্তিগীর। এই নিয়ে কমনওয়েলথ গেমস ২০২২-এ অষ্টম সোনা এল ভারতের ঝুলিতে।
ফাইনালে উঠে র রুপো জয় আগেই নিশ্চিৎ করে ফেলেছিলেন সাক্ষী মালিক। এর আগে ফ্রি-স্টাইল কুস্তিতে মেয়েদের ৬২ কেজি বিভাগের ইংল্যান্ডের কেলসি বার্নসের বিরুদ্ধে কার্যত ১ মিনিটেই কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াই জিতে নেন সাক্ষী। ১০-০-র ব্যবধান তৈরি করে টেকনিক্যাল সুপিরিয়রিটির নিরিখে বাজিমাত করেন ভারতীয় তারকা। সেমিফাইনালে ক্যামেরুনের বার্থে এমিনিয়েন্স এতান এনগোলিকে ১০-০ ব্যবধানে হারিয়ে দেন। ফাইনালে উঠে রুপো নিয়ে ভাবেননি সাক্ষী। তার লক্ষ্য ছিল অধরা সোনা জয়। সেটাই এবার পূরণ করলেন তিনি।
গোল্ড মেডেল বাউটের প্রথম রাউন্ডে পরপর একই ভুল করায় প্রতিপক্ষ তাকে দুবার টেকডাউন করে দেন। যার ফলে প্রথম রাউন্ডে সাক্ষী ০-৪ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েন। যার ফলে অনেকেই হতাশ হয়েছিলেন। কিন্তু হাল ছাড়েননি সাক্ষী। দ্বিতীয় রাউন্ডে সাক্ষী এক ঝটকায় ৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করেন নেন এবং কানাডিয়ান তারকাকে চিৎ করে ফাইনাল বাউট জিতে নেন। সেই সঙ্গে বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথ গেমস থেকে ভারতকে সার্বিকভাবে ৮ নম্বর স্বর্ণ পদক এনে দেন সাক্ষী।
সোনা জয়ের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সাক্ষী মালিককে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ট্যুইটারে তিনি লেখেন,'আমাদের ক্রীড়াবিদরা কমনওয়েলথ গেমস বার্মিংহামে আমাদের গর্বিত করে চলেছে। এই অসামান্য ক্রীড়া পারফরম্যান্সে রোমাঞ্চিত। সাক্ষী মালিককে মর্যাদাপূর্ণ স্বর্ণপদক জয়ের জন্য আমি তাকে অভিনন্দন জানাই। তিনি প্রতিভার একটি পাওয়ার হাউস এবং অসাধারণ স্থিতিস্থাপকতায় আশীর্বাদপ্রাপ্ত।'
প্রসঙ্গত, বজরংয়ের মতো সাক্ষীও টানা তিনটি কমনওয়েলথে পদক জিতলেন। তবে সোনা এই প্রথম। এর আগে ২০১৪-র গ্লাসগো কমনওয়েলথ তিনি ৫৮ কেজি বিভাগে রুপো জিতেছিলেন। ২০১৮ গোল্ড কোস্ট গেমসে ব্রোঞ্জ জেতেন। এবার কমনওয়েলথ গেমসে পূরণ সোনার স্বপ্ন।