করোনা ভাইরাসের কোপে ক্রীড়া জগৎ
পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বড় বড় ক্রীড়া প্রতিযোগিতাগুলি
যে গুলি বাতিল করা সম্ভব নয় সেগুলি হবে দর্শকশুন্য স্টেডিয়ামে
সারা পৃথিবীতে এই ভাইরাসের কবলে পরে মৃতর সংখ্যা ৪৬০০
করোনা আতঙ্ক থাবা বসিয়েছে সারা বিশ্বে। তারই জেরে এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ বিশ্বের জনপ্রিয় সমস্ত ক্রীড়া প্রতিযোগিতা গুলি। ফুটবল থেকে শুরু করে ক্রিকেট কিংবা টেনিস সমস্ত খেলার সূচিতেই প্রভাব। ফেলেছে নোভেল করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক।
ফুটবলের বড় বড় কম্পিটিশন গুলির ক্রীড়াসূচি বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন উদ্যোক্তারা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদ এবং ম্যানচেস্টার সিটির ফিরতি লিগের খেলা সহ বাকি সব কটি খেলাই অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে। ইতালিতে সিরি আ বন্ধ এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ অবধি। স্পেনেও ছড়াচ্ছে করোনা, তাই দু সপ্তাহের জন্য লা-লিগা বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ইউরো ২০২০ আয়োজিত হবে কিনা তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। ইপিএল-এ অনেক ম্যাচ খেলা হচ্ছে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। ভারতে আইএসএল ফাইনাল কিংবা কলকাতা ডার্বির মতো বড় ম্যাচগুলো হতে চলেছে দর্শকশুন্য গ্যালারিতে।
ক্রিকেটেও প্রভাব ফেলেছে নোভেল করোনা। সদ্য চলতে থাকা ভারত - দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ক্রিকেটারদের জন্য জারি করা হয়েছে একাধিক বিধি-নিষেধ। আইপিএল নির্ধারিত সময়ে হবে কিনা সেই নিয়েও দেখা যাচ্ছে দ্বন্দ। খুব বড় কোনও প্রয়োজন না থাকলে ভারতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না কোনও বিদেশিকে। ফলে বিদেশি ক্রিকেটার দের আগমন নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠে গেছে। সম্প্রতি আয়োজিত হওয়া রোড সেফটি সিরিজেও প্রভাব ফেলেছে করোনা আতঙ্ক। আপাতত সচিন টেন্ডুলকার, ব্রায়ান লারা সমৃদ্ধ সিরিজ টিকে বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। বাংলা বনাম সৌরাষ্ট্রের মধ্যে চলতে থাকা ফাইনালের আজ শেষ দিনটি হবে দর্শকশুন্য স্টেডিয়ামে।
করোনা আতঙ্কের প্রভাব পড়েছে সারা বিশ্বের টেনিস টুর্নামেন্ট গুলিতেও। সম্প্রতি যে কটি এটিপি ট্যুর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল সেগুলি অনির্দিষ্টকালের জন্য বাতিল করা হয়েছে। বাতিল হয়েছে মায়ামি ওপেনের মতো বড় প্রতিযোগিতা।