Asia Cup 2025: যোগ্যতা থাকলে স্লেজিং করতে হয় (asia cup points table 2025)। পাকিস্তান মনে হয় সেটা ভুলে গেছিল। তাই একটু ভালোভাবে বুঝিয়ে দিলেন শুভমানরা। চার-ছক্কার ফুলঝুরি। কোনও পাক বোলারকে ভারতের ব্যাটাররা রেয়াত করেন না। ঠিক চোয়াল শক্ত করে একের পর এক কভার ড্রাইভ কিংবা তুলে মার। বল গিয়ে পড়ছে সোজা গ্যালারিতে (india vs pakistan live)। আসলে পাকিস্তান বোলারদের কাজ বল করা এবং টিম ইন্ডিয়ার তারকারা শুধু মারতে থাকবেন। আর তারপর বুঝিয়ে দেবেন, “যা, এবার বাউন্ডারি থেকে বল নিয়ে আয়।"
একটা সময় সেওয়াগ শাসন করেছেন উমর গুলদের। তারপর বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা এবং মহেন্দ্র সিং ধোনিরা শাসন করেছেন শাহীন আফ্রিদি, হ্যারিস রাউফদের। এবার শুরু করেছেন শুভমান, অভিষেক এবং সূর্যকুমাররা। তাই বোধহয় মাথা ঠিক রাখতে পারছেন না পাক বোলাররা।
রবিবারের ম্যাচে, একের পর চার-ছক্কা খেয়ে আনস্কিলড ক্রিকেটারদের মতো ভারতীয় ক্রিকেট দলের ব্যাটারদের কটূক্তি করতে শুরু করেন পাকিস্তানের বোলাররা। কিন্তু ভারত তো সব জায়গাতেই পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দেয়।
ঠিক যেইরকম পাওয়ার প্লে-তে, সেইরকমই পরের ওভারগুলিতেঁও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে গেলেন টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটাররা। কখনও ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে, আবার কখনও ব্যাট ঘুরিয়ে রানের ফুলঝুরি ছোটালেন তারা। সেইসঙ্গে, দিকবিদিকশুন্য বিপর্যস্ত পাকিস্তানকে নিজেদের ‘অউকাত’ বুঝিয়ে দিলেন শুভমানরা। হ্যারিস রাউফের মুখের উপর গিল বললেন, “যা, বাউন্ডারি থেকে বল নিয়ে আয়।"
ম্যাচ শেষে অভিষেক আবার জানালেন, “কোনও কারণ ছাড়াই কথা বাড়াচ্ছিল ওরা। আমরা জবাবটা দিয়ে দিয়েছি।" নিঃসন্দেহে উপযুক্ত জবাব তো বটেই। মাঠের মধ্যে আবার বন্দুকের মতো করে ব্যাট তুলে সেলিব্রেট করেন ফারহান। তার জবাবও ভারত রানের ফোয়ারা ছুটিয়ে দিয়ে এসেছে। ফলে, বোঝাই যাচ্ছে যে, পাকিস্তানের সব ফাঁকা আওয়াজ। ২২ গজে তারা আস্ত একটা ‘শূন্য’।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।