
Babar Azam: পাকিস্তানের টি-২০ ক্রিকেট দল থেকে বাদ পড়েছেন সেই দেশের তারকা ক্রিকেটার বাবর আজম। তবে এই মুহূর্তে তাঁর দলে ফেরার জন্য নাকি একটাই রাস্তা রয়েছে! সেটা হল উইকেটকিপিং করতে হবে তাঁকে (pakistan cricket team news today)।
আর এই বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেটে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে। রশিদ লতিফ, মহসিন খান, বাসিত আলি, মইন খান এবং সিকান্দার বখতের মতো প্রাক্তনরা রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বিষয়টি জানতে পেরে। তাদের মতে, বাবরের মতো তারকা ক্রিকেটারদের প্রতি কার্যত, অন্যায় করা হচ্ছে।
যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই সমস্ত অভিযোগই পুরো খারিজ করে দিয়েছেন হেসন নিজেই। হেসন স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে বাবরের এমন কোনও আলোচনাই হয়নি এখনও অবধি। কোচের কথায়, “অনেকেই বলছেন যে, আমি নাকি বাবরকে উইকেটকিপিং করার কথা বলেছি। অথচ আমাদের মধ্যে এই ব্যাপারে কোনওরকম আলোচনাই হয়নি। বাবর ওর গোটা ক্যারিয়ারে কখনও কিপিং করেনি। তাহলে আমি কীভাবে ওকে এমন কথা বলতে পারি? একজন প্রাক্তন অধিনায়ক এবং সিনিয়র ক্রিকেটারের সঙ্গে এমন আচরণই বা কেন করতে যাব আমি?”
হেসনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ সামনে আসছে। তিনি নাকি এও বলেছেন যে, যাদের স্ট্রাইক রেট ১৫০-এর নিচে, তারা টি-২০ দলে একেবারেই জায়গা পাবেন না। এই অভিযোগকেও পত্রপাট খারি করে দিয়েছেন তিনি। হেসন বলেছেন, “ক্রিকেটারদের আমি এটাও বলিনি যে, দলে জায়গা ধরে রাখতে গেলে দেড়শোর বেশি স্ট্রাইক রেট নিয়ে ব্যাট করতে হবে। তবে হ্যাঁ, ব্যাটারদের স্ট্রাইক রেট উন্নতির জন্য আমরা সবসময় কাজ করে চলেছি।”
তিনি জানাচ্ছেন, "আমরা এমন সব খেলোয়াড়দের দিকে নজর দিচ্ছি, যারা যে কোনও জায়গায় ব্যাটিং করে দলকে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের দলে কোনও জায়গাই থাকবে না।”
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের টি-২০ দল থেকে ইতিমধ্যেই ছেঁটে ফেলা হয়েছে মহম্মদ রিজওয়ান এবং শাহিন আফ্রিদিকেও। এদিকে আবার আগামী ২০ জুলাই থেকে শুরু হতে চলা টি-২০ সিরিজে মুখোমুখি হতে চলেছে পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ। সেই সিরিজের সমস্ত ম্যাচ বাংলাদেশের মীরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।