এমনিতেই মেলবোর্ন টেস্টে হারতেই ভারত কার্যত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল থেকে ছিটকে গেছিল।
অন্যদিকে, সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া। আর এদিন, ৩ জানুয়ারি থেকে সিডনিতে শুরু হয়েছে সিরিজের শেষ তথা পঞ্চম টেস্ট। আর এই টেস্টে ফের একবার চর্চায় উঠে এসেছে অজি ওপেনার স্যাম কনস্টাস এবং ভারতীয় পেসার যশপ্রীত বুমরা।
সেই বক্সিং-ডে টেস্ট থেকেই বুমরা-কনস্টাসের বিবাদ শুরু হয়েছে। মেলবোর্নে অভিষেক টেস্টেই রীতিমতো চমকে দেন কনস্টাস। জীবনের প্রথম টেস্টে ৬৫ বলে ৬০ রানের ঝকঝকে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি।
এছাড়াও বুমরাকে কার্যত, বলে বলে বাউন্ডারির মেরেছিলেন তিনি। যদিও মেলবোর্নের দ্বিতীয় ইনিংসে বুমরা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, কনস্টাস আসলে ভুলই করেছিলেন। কারণ, বুমরার বিষাক্ত ইন কাটারে মিডল স্টাম্প উড়ে গিয়েছিল তাঁর। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৮ রান করেছিলেন কনস্টাস। আর সেখান থেকেই শুরু বুমরা বনাম কনস্টাস লড়াই। যা পঞ্চম টেস্টেও একইভাবে হয়ে চলেছে।
ভারতের প্রথম ইনিংসের জবাবে অজিরা প্রথম ইনিংসে তুলেছে ১ উইকেট হারিয়ে ৯ রান। কনস্টাস এবং উসমান খোয়াজা ওপেন করতে নামেন। বুমরা শুরুতেই ধাক্কা দেন খোয়াজাকে। এরপর খোয়াজাকে ফিরিয়ে কনস্টাসের দিকে রীতিমতো তেড়ে যান ভারত অধিনায়ক। দেখে মনে হচ্ছিল যেন, বুমরা চোখ দিয়েই যেন গিলে খাবেন কনস্টাসকে। আসলে বুমরা যখনই রানআপ নেওয়া শুরু করেছিলেন, তখনই বুঝে যান যে, খোয়াজা একেবারেই তৈরি নন। বাধ্য হয়ে তাঁকে থামতে হয় বারবার।
কিন্তু তার মধ্যেই অহেতুক ঢুকে পড়েন কনস্টাস। এরপরেই দুজন উত্তপ্ত বাদানুবাদে জড়ানোর আগেই আম্পায়ার তাদেরকে থামিয়ে দেন।
তারপর খোয়াজাকে ওই বলেই আউট করেন বুমরা এবং সেলিব্রেশনে মেতে সোজা কনস্টাসের দিকেই ছুটে গিয়ে তাঁর দিকে ওভাবে তাকিয়ে ছিলেন। কনস্টাসও চুপচাপ ড্রেসিংরুমে ফিরে যান। এই ঘটনা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে এসে ঋষভ পন্থ, জানান, "আমার মনে হয় বুমরা-কনস্টাস একটু চিটচ্যাট করছিল। তাছাড়া অস্ট্রেলিয়া কিছুটা সময় নষ্ট করতে চেয়েছিল। আমার মনে হয় ঠিক এই কারণেই কনস্টাস ও বুমরা নিজেদের মধ্যে কথোপকথন চালাচ্ছিল। কনস্টাস কিছু একটা বলেছিল, তবে আমি শুনিনি। কিন্তু আমি মনে করি ওরা শুধু সময় নষ্টই করতে চেয়েছিল যাতে আমরা একটা ওভার কম করতে পারি।"