স্টুয়ার্ট ব্রডের বোলিংয়ের মতোই হেলায় উড়িয়ে দিয়েছেন ক্যান্সার, অনুপ্রেরণার নাম যুবরাজ

২০১১ সালের ওডিআই বিশ্বকাপের পরেই যুবরাজ সিংয়ের ক্যান্সার ধরা পড়ে। এই ক্রিকেটার আর মাঠে ফিরতে পারবেন কি না, সেটা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। তবে শেষপর্যন্ত সুস্থ হয়ে মাঠে ফেরেন যুবরাজ।

২০১১ সালের ২ এপ্রিল ওডিআই বিশ্বকাপ ফাইনালের দিন অসুস্থ হয়ে পড়েন যুবরাজ সিং। তিনি বমি করতে থাকেন। তাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেন সতীর্থ হরভজন সিং। কিন্তু সেই পরামর্শ উপেক্ষা করেই খেলেন যুবরাজ।

ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান যুবরাজ সিং। ২০১২ সালের মার্চে তৃতীয় ও শেষ কেমোথেরাপির পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় যুবরাজকে। 

নিজে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই কারণে সুস্থ হয়ে ওঠার পর ক্যান্সার আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য একটি ফাউন্ডেশন তৈরি করেছেন যুবরাজ সিং। তিনি সারা দেশেই ক্যান্সার আক্রান্তদের সাহায্য করছেন।

ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত। সেই সময় ট্যুইট করে তাঁর জন্য প্রার্থনা করার কথা জানান যুবরাজ সিং। 

মেডিয়াস্টিন্যাল সেমিনোমা ক্যান্সারের লক্ষণ হল শ্বাসকষ্ট, নাক-মুখ থেকে রক্তপাত, শারীরিক সক্ষমতা কমে যাওয়া। যুবরাজ সিংয়ের শরীরে সব লক্ষণই ছিল। 

২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-২০ ম্যাচে জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন ঘটান যুবরাজ সিং। ক্যান্সারজয়ী তারকাকে ফের খেলতে দেখে স্বস্তি পায় ক্রিকেট মহল।

২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বণিকসভা ফিকি-র পক্ষ থেকে বছরের সেরা অনুপ্রেরণামূলক ক্রীড়াবিদ সম্মান পান যুবরাজ সিং। তিনি আরও অনেক সম্মান পেয়েছেন।

২০১২ সালে দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মান অর্জুন পুরস্কার পান যুবরাজ সিং। ২০১৪ সালে তাঁকে দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ খেতাব পদ্মশ্রী সম্মান দেওয়া হয়। 

২০১৭ সালের জুনে শেষবার ভারতীয় দলের হয়ে খেলেন যুবরাজ সিং। তিনি কানাডায় গ্লোবাল টি-২০ লিগ ও টি-১০ লিগে যোগ দেওয়ায় ঘরোয়া ক্রিকেট ও আইপিএল-এ যোগ দেওয়ার অনুমতি দেয়নি বিসিসিআই।