স্নিকোমিটারের মতো আধুনিক প্রযুক্তি থাকার পরেও, আম্পায়ার কীভাবে অপটিক্যাল ইলিউশনের উপর ভিত্তি করে একজন ব্যাটসম্যানকে আউট দিতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গাভাসকার।
প্যাট কামিন্সের শর্ট পিচ বল হুক করার চেষ্টা করার সময় জয়সওয়ালের গ্লাভসে বল লেগেছে বলে তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত দেন। মাঠের আম্পায়ার নট আউট দিলেও অস্ট্রেলিয়া ফের একবার রিভিউ নেয়। সেই রিপ্লেতে দেখা যায় যে, বলটি জয়সওয়ালের ব্যাট এবং গ্লাভসের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু স্নিকোমিটারে কোনওরকম শব্দ পাওয়া যায়নি।
তৃতীয় আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা সাইকাতের আউট ঘোষণায় সমর্থকরা রীতিমতো হতবাক হয়ে যান। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ জানিয়ে ক্রিজ ছাড়তে অস্বীকার করলে মাঠের আম্পায়ার তাঁকে আউট ঘোষণা করে ফেরত পাঠান। সম্প্রচারকারী চ্যানেল স্টার স্পোর্টসের হিন্দি ধারাভাষ্যে গাভাসকার বলেন, “আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল এবং বলের গতিপথের পরিবর্তন অপটিক্যাল ইলিউশনের কারণেও হতে পারে।"
স্নিকোমিটারের মতো আধুনিক প্রযুক্তি থাকার পরেও, আম্পায়ার কীভাবে অপটিক্যাল ইলিউশনের উপর ভিত্তি করে একজন ব্যাটসম্যানকে আউট দিতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গাভাসকার। স্নিকোমিটারে যদি বল ব্যাটে লেগেছে বলে দেখাত, তাহলে তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করা যেত। এটি সম্পূর্ণ ভুল সিদ্ধান্ত। অপটিক্যাল ইলিউশনের উপর নির্ভর করলে স্নিকোমিটারের মতো আধুনিক প্রযুক্তির কোনও প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য করেন গাভাসকার।
এদিকে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জয়সওয়ালের উইকেট হারানো মেলবোর্ন টেস্টে ভারতের পরাজয়ের অন্যতম কারণ ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। জয়সওয়াল এবং ওয়াশিংটন সুন্দর ক্রিজে থাকাকালীন ভারতের ড্র করার সম্ভাবনা অনেকটাই ছিল। কিন্তু জয়সওয়াল আউট হওয়ার পর আকাশদীপ, যশপ্রীত বুমরা এবং মহম্মদ সিরাজকেও ফিরিয়ে দিয়ে অস্ট্রেলিয়া ১৮৪ রানে জয় পায়। শেষদিনের খেলা শেষ হওয়ার ১১ ওভার আগেই অস্ট্রেলিয়া জয় নিশ্চিত করে নেয় এই ম্যাচে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।