T-20 Cricket World Cup: হটাৎ দিল্লী পুলিশের নজরে রোহিতরা! পাকিস্তান জয়ের পর এমন কি ঘটল?

টি-২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের জয়। আর তারপরই দিল্লী পুলিশের নজরে দুই দল।

ইতিমধ্যেই খবর পৌঁছে গেছে নিউ ইয়র্ক পুলিশের কাছেও। রোহিত শর্মা এবং বাবর আজ়মরা কার্যত দিল্লী পুলিশের নজরবন্দী। রবিবার, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভারতের কাছে হেরেছে পাকিস্তান। তারপরই এই ঘটনা। কিন্তু কেন?

নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইতে ৬ রানে পাকিস্তানকে হারায় ভারত। টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম (Babar Azam)। মাত্র ১৩ রানে, শাহিন আফ্রিদির (Shaheen Afridi) বলে হ্যারিস রাউফের (Haris Rauf) হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। তবে সেখানেই শেষ নয়। বিরাট কোহলিও (Virat Kohli) খুব একটা সুবিধা করতে উঠতে পারেননি। তিনি ফিরে যান মাত্র ৪ রানে।

কিন্তু হাল ধরেন ঋষভ পন্থ (Rishabh Pant)। তাঁর ৩১ বলে ৪২ রানের ইনিংস ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। ভারত ১১৯ রান তুলতে সক্ষম হয়। বোলিং এবং ফিল্ডিং, এই ম্যাচে তুলনামূলক ভালো করে পাকিস্তান। এমনকি, ব্যাটিং-এর শুরুটাও খারাপ করেনি তারা। কিন্তু আসতে আসতে ভারতীয় বোলারদের দাপটে খেলা থেকে হারিয়ে যায় পাকিস্তান। মহম্মদ রিজওয়ান (Mohammad Rizwan) করেন সর্বাধিক ৩১ রান। কার্যত, যশপ্রীত বুমরার (Jasprit Bumrah) দাপটে ম্যাচ হাত থেকে বেরিয়ে যায় পাকিস্তানের। বুমরা একাই নেন ৩টি উইকেট। পাকিস্তান পরাজিত হয় ৬ রানে।

তার পরেই নিজেদের এক্স-হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে দিল্লী পুলিশ (Delhi Police)। নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগকে ট্যাগ করে সেখানে তারা লেখে, “আমরা দুটো আওয়াজ পেয়েছি। একটা ভারত, ভারত। আর অন্যটা সম্ভবত টেলিভিশন ভাঙার আওয়াজ। আপনারা একটু খোঁজ নিয়ে জানাতে পারবেন?”

এই পোস্ট থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার যে, পাক দলের হার নিয়ে রীতিমতো মজা করেছে দিল্লী পুলিশ। ভারতের কাছে হারলে এমনিতেই পাকিস্তান সমর্থকদের টেলিভিশন ভাঙার ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর আগেও অনেক বার সেই সব দেখা গেছে। কেউ হাতুড়ির আঘাতে টেলিভিশন (Television) ভেঙেছেন, তো কেউ আবার গোটা টেলিভিশন তুলে রাস্তায় আছাড় মেরেছেন।

রবিবারের ম্যাচে ভারত জয়ের আনন্দে স্টেডিয়ামে যখন জয়ধ্বনি উঠেছিল, তার ডেসিবল ছিল অনেক বেশি। সেই দুই ঘটনা নিয়েই মজা করেছে দিল্লী পুলিশ।