
Indian Cricket: ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে আনা হবে জাতীয় ক্রীড়া নীতির আওতায়। ফলে, জাতীয় ক্রীড়া নীতি চালু হলে, অগাস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে ভারতীয় ক্রিকেটের পরিচালনা ব্যবস্থায় (national sports bill bcci)।
যদি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এই নীতির আওতায় না আসে, তাহলে আর ভারত নাম নিয়ে খেলা যাবে না। সেক্ষেত্রে ভারতীয় ক্রিকেট দলের নাম হয়ত বিসিসিআই হয়ে যাবে। তবে সেই সম্ভাবনা অনেকটাই কম। কারণ, বিসিসিআই এই নীতির আওতায় আসবে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল (national sports governance bill 2025)।
সেখানেই পেশ করা হবে নয়া জাতীয় ক্রীড়া বিল। মনে করা হচ্ছে, আগামী ১২ অগাস্ট সংসদে এই বিল পাশ হয়ে যেতে পারে। তারপর থেকেই চালু হয়ে যাবে জাতীয় ক্রীড়া নীতি। বিসিসিআই যদি এই নীতির অধীনে চলে আসে, তাহলে একাধিক বদল ঘটবে এই দেশের ক্রিকেট পরিচালন ব্যবস্থায়।
এই মুহূর্তে বিসিসিআই একটি স্ব-শাসিত সংস্থা। আর্থিক সহায়তার জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কেন্দ্রীয় সরকারের উপর সরাসরি নির্ভরশীল নয়। কিন্তু জাতীয় ক্রীড়া নীতির অধীনে এলে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের সমস্ত নিয়ম মেনে চলতে হবে বোর্ডকে।
বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে যাদের ভোটাধিকার রয়েছে, তাদের মধ্যে অবশ্যই ১০% খেলোয়াড় থাকতে হবে।
মোট ৯ জনের অ্যাপেক্স কাউন্সিলে ৪ জন প্রাক্তন ক্রিকেটারকে রাখতেই হবে।
বিসিসিআই-এর মাথায় থাকবে স্পোর্টস ট্রাইব্যুনাল এবং স্পোর্টস বোর্ড।
বোর্ডের যে কোনও পদে থাকার বয়সসীমা ৭০-৭৫ হয়ে যেতে পারে।
ক্রিকেট বোর্ডে থাকার মেয়াদ কিছুটা বাড়তে পারে। মোট চার বছর করে দু’বার, অর্থাৎ মোট ৮ বছর বোর্ডের পদে থাকতে পারবেন একজন কর্তা। তবে মাঝে চার বছরের জন্য বোর্ডের পদ থেকে বিরত থাকতে হবে সেক্ষেত্রে।
সিএসআর, অর্থাৎ কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটির সুবিধা পাবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ফলে, স্পনসরশিপ এবং অনুদান পেতে সুবিধা হবে বিসিসিআই-এর।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।