ভারতের জাতীয় পতাকাকে কেন্দ্র করেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। পাকিস্তান আফগানিস্তান ম্যাচে অনেক ভক্ত ভারতের জাতীয় পতাকা নিয়ে মাঠে ঢোকার চেষ্টা করেছিল।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের পাকিস্তান-আফগানিস্তান ম্যাচেই ভাইরাল ভিডিও ঘিরে তোলপাড়া ভারতের রাজনীতি। খেলার সময়ই এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে ভারতীয় পাতাকা নিয়ে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে দেশ।
ভিডিওর বিষয়বস্তু
ভারতের জাতীয় পতাকাকে কেন্দ্র করেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। পাকিস্তান আফগানিস্তান ম্যাচে অনেক ভক্ত ভারতের জাতীয় পতাকা নিয়ে মাঠে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। তাতে প্রথমে আপত্তি জানিয়েছিল এক পুলিশ কর্মী। কিন্তু তাতেই ভারতীয়ের অনেকেই সেই পতাকাগুলি নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্ট পুলিশ আফিসার সেগুলি কেড়ে নিয়ে ছুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলে ডাস্টবিনে । তারপরই দর্শকরা প্রবল আপত্তি জানায়। তারপর পুলিশ অফিসার সেগুলি তুলে রেখে দেয় গাড়িতে। কিন্তু জাতীয় পতাকার অবমাননা অনেকেই পছন্দ করেছিল। তাতেই ভিডিও ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। দেখুন সেই ভিডিওটিঃ
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ঘিরে অনেকেই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। পুলিশ কর্মী কী করে জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছে তাই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে। অনেকে আবার এই বিষয়টির মধ্যে জাতীয় রাজনীতিও টেনে এনেছে। এক নেটিজেন বলেছে,ইন্ডিয়া জোট চায় না মাঠে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা ভারতের পতাকা দেখে অস্বস্তির মধ্যে পড়ুক। সেই কারণে তামিলনাড়ু সরকারের পুলিশ ভারতের পতাকা নিয়ে মাঠে ঢুকতে বাধা দিয়েছিল।
তবে এজাতীয় মন্তব্যের এখনও পর্যন্ত সরকার কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে পুলিশের একটি সূত্র বলেছে, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাঠে প্ল্যাস্টিক নিষিদ্ধ। সেই কারণে মাঠে প্ল্যাস্টিকের পতাকা নিয়ে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র কাপড়ের জাতীয় পতাকা নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। তামিলনাড়ুর ডিএমকে সরকারের একটি সূত্র বলছে , এই ঘটনাকে অযথা রাজনীতির রঙ মাখাচ্ছে বিজেপি।
বিজেপিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ল্যাটফর্মে তামিলনাড়ুর পুলিশের বিরুদ্ধে জাতীয় পাতাকার অবমাননার ভিডিও দিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা বলেছেন, একজন ভারতীয় পুলিশ কর্তা জাতীয় পতাকা বহন করতে নিষেধ করতে পারে না। বিজেপির রাজ্যসভাপতি কে আন্নামালাই বলেছেন, তাঁর দল এই ঘটনার নিন্দা করেছে। জাতীয় পতাকা অবমাননা করার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। তামিলনাড়ুতে ক্ষমতাসীন ডিএমকে যাতে এই ঘটনার জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চায় তারও দাবি জানান হয়েছে।