PBKS vs MI Qualifier 2: মেগা টি-২০ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা আইপিএল-এর মেগা ফাইনাল আগামী ৩ জুন। ইতিমধ্যেই একটি দল ফাইনালে চলে গেছে। অপেক্ষা এখন দ্বিতীয় দলের জন্য (pbks vs mi qualifier 2 ipl)।
কিন্তু সেই ম্যাচে হারলেও, পাঞ্জাবের কাছে এখনও আরেকটি সুযোগ রয়েছে (PBKS vs MI Qualifier 2025)। অন্যদিকে, এলিমিনেটর ম্যাচে মুম্বইয়ের কাছে হেরে আইপিএল থেকে বিদায় নিয়েছে গুজরাত টাইটান্স (Gujarat Titans)। আর মুম্বইয়ের এই জয়ের পরেই, আইপিএল যেন আরও জমে উঠেছে। কার্যত, উত্তেজনার পারদ চড়ছে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচকে কেন্দ্র করে (PBKS vs MI 2025 Live score)।
কারণ, এই ম্যাচে পাঞ্জাব কিংস মুখোমুখি হবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (Punjab Kings vs Mumbai Indians)। যে ম্যাচটি ১ জুন, রবিবার অনুষ্ঠিত হবে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। অপরদিকে, এই মাঠেই ফাইনাল ম্যাচটিও অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, গোটা প্রতিযোগিতায় যথেষ্ট ভালো ক্রিকেট উপহার দিয়েছে পাঞ্জাব। বিশেষ করে দলের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার নিজে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন। সবথেকে বড় বিষয়, শ্রেয়স আইয়ার হলেন আইপিএল-এর ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার, যিনি অধিনায়ক হিসেবে তিনটি আলাদা আলাদা দলকে প্লে-অফে তুলেছেন ((pbks vs mi qualifier 2)।
গত ২০১৯ এবং ২০২০ সালে, তিনি ছিলেন দিল্লী ক্যাপিটালসের অধিনায়ক। সেই দুবারই প্লে-অফে উঠেছিল দিল্লী। তার মধ্যে আবার ২০২০ সালে, ফাইনালও খেলে তারা। এরপর আবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক হন শ্রেয়স এবং গতবার কেকেআরকে চ্যাম্পিয়ন করেন তিনিই।
কেকেআর ম্যানেজমেন্ট অবশ্য এবার তাঁকে গুরুত্ব দেয়নি! কিন্তু পাঞ্জাবের স্পটাররা সোনা চিনতে ভুল করেননি। তাই মেগা অকশনে রেকর্ড অর্থের বিনিময়ে শ্রেয়সকে দলে নেয় কিংসরা। আর মাঠে নেমেই ক্রমাগত জবাব দিয়েছেন শ্রেয়স। বারবার বুঝিয়ে দিয়েছেন, 'call of action' সঠিক ছিল না নাইট ম্যানেজমেন্টের। হাত কামড়াচ্ছেন ভেঙ্কি মাইসোর?
গোটা টুর্নামেন্টে অসাধারণ ব্যাটিং এবং ক্যাপ্টেন হিসেবে টিমকে সাফল্য এনে দেওয়া। শ্রেয়স আইয়ার, নিঃসন্দেহে ভারতীয় ক্রিকেটের কালো ঘোড়া।
তাছাড়া প্রিয়াংশ আর্য, প্রভসিমরণ সিং, জশ ইংলিস, নেহাল ওয়াধেরা, শশাঙ্ক সিং, মার্কাস স্টয়নিস, আজমতুল্লাহ ওমরজাই এবং আর্শদীপ সিংরা যে কোনও মুহূর্তে খেলা ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।
যদি একটু পাঞ্জাব বনাম বেঙ্গালুরু ম্যাচের দিকে তাকানো যায়, তাহলে দেখা যাবে সেই ম্যাচে পাঞ্জাবের ব্যাটিং লাইন-আপ পুরোপুরি ব্যর্থ ছিল। কিন্তু কিংসদের ওপেনিং, মিডল অর্ডার এবং টেল এন্ডার ব্যাটাররা যথেষ্ট দক্ষ। তাছাড়া বোলিং বিভাগও বেশ শক্তিশালী। চলতি প্রতিযোগিতায় তার প্রমাণ বারবার মিলেছে। তাই রবিবারের ম্যাচে যে কোনও সময়ে পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন তারা।
অন্যদিকে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এই মুহূর্তে আত্মবিশ্বাসের দিক দিয়ে অনেকটাই এগিয়ে। কারণ, টুর্নামেন্টের একেবারে প্রথম দিকে মুম্বইয়ের পারফরম্যান্স আহামরি কিছু ছিল না। কিন্তু পরবর্তীকালে লাগাতার ম্যাচ জিতে ঘুরে দাঁড়ায় তারা এবং পয়েন্টস টেবিলের চার নম্বরে শেষ করে প্লে-অফের লড়াইতে জায়গা পাকা করে নেয়। সবথেকে বড় বিষয় হল যে, অধিনায়ক হার্দিক এবং রোহিত শর্মার ফর্মে ফিরে আসা। সেইসঙ্গে, যশপ্রীত বুমরার চোট সারিয়ে প্রত্যাবর্তন।
একের পর এক ম্যাচে রীতিমতো পার্থক্য গড়ে দিচ্ছেন এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা পেস বোলার যশপ্রীত বুমরা। এমনকি, গুজরাতকে হারানোর ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা নিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, রোহিত শর্মা গত ম্যাচের পর নিঃসন্দেহে অনেকটা স্বস্তি অনুভব করছেন। কারণ, আইপিএল-এর শুরুর দিকে তাঁর খারাপ ফর্ম নিয়ে কম চর্চা হয়নি। তবে আবারও তিনি প্রমাণ করলেন, কেন তাঁকে বড় ম্যাচের প্লেয়ার বলা হয়। সেইসঙ্গে, নিন্দুকদের জবাব দিলেন মুম্বই অধিনায়ক হার্দিকও।
এবার সামনে পাঞ্জাব। বলা ভালো, উল্টোদিকে তাঁরই সতীর্থ শ্রেয়স। তবে সূর্যকুমার যাদব যেভাবে মিডল অর্ডারে দায়িত্ব নিয়ে খেলছেন, তা নিঃসন্দেহে বাড়তি সুবিধা করে দিচ্ছে মুম্বই দলকে। এছাড়া তিলক ভার্মা, জনি বেয়ারস্টো, নমন ধীর, মিচেল স্যান্টনার এবং ট্রেন্ট বোল্টও কিন্তু ম্যাচের রঙ বদলে দিতে পারেন যখন তখন। বিশেষ করে, এলিমিনেটর ম্যাচের প্রথম ওভারে যেভাবে শুভমানকে ফেরালেন বোল্ট, দেখে মনে হচ্ছিল ২২ গজে যেন তিনি রাজ করতেই নেমেছেন।
উল্লেখ্য, একাধিকবার আইপিএল জয়ের সুবাদে বিরাট একটা অভিজ্ঞতা তো রয়েছেই মুম্বইয়ের ঝুলিতে। সেইসঙ্গে, দলের ওপেনিং, মিডল অর্ডার এবং টেল এন্ডার ব্যাটাররা যথেষ্ট স্বস্তি দিচ্ছেন ম্যানেজমেন্টকে। এমনকি, চাপের মুহূর্তেও টেম্পারমেন্ট ধরে রেখে আসল কাজটি করে দিচ্ছেন দলের বোলাররা।
যে বিষয়গুলো এই ধরনের নক-আউট ম্যাচে নামার আগে ভীষণভাবেই গুরুত্বপূর্ণ।
পাঞ্জাব কিংসঃ শ্রেয়স আইয়ার, প্রিয়াংশ আর্য, শশাঙ্ক সিং, মার্কাস স্টয়নিস, আর্শদীপ সিং
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সঃ রোহিত শর্মা, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, ট্রেন্ট বোল্ট, যশপ্রীত বুমরা
আহমেদাবাদের ২২ গজ যথেষ্ট স্কোরিং একটি পিচ। তাই বড় রান যে উঠবে, সেই কথা বলাই বাহুল্য। আর দুই দলই আগে ব্যাট করে এবং রান তাড়া করতে জিততে ওস্তাদ। স্বাভাবিকভাবেই, এই কথা বলাই যায় যে, ২২ গজের অন্যতম একটি রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ হতে চলেছে এটি। রীতিমতো হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখার অপেক্ষায় ক্রিকেটপ্রেমীরা।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।