শতবর্ষের অনুষ্ঠানের স্বাদ আর একটু এলেই তেতো করে দিচ্ছিলেন সেনা ফুটবলার। শনিবার মরশুমের প্রথম ম্যাচে লাল হলুদ বাহিনী জয় পেল ঠিকই, কিন্তু তা এলো সমর্থকদের হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দিয়ে। প্রথম গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হলো ৮৫ মিনিট পর্যন্ত। বিদেশি স্ট্রাইকারের অভাবও ভালই টের পেলেন অ্যালেজান্দ্রো মেনেন্দেস। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ২-০ ব্যবধানে স্বস্তির জয় এল ঘরের মাঠে।
শনিবার ডুরান্ড কাপের প্রথম ম্যাচে আর্মি রেডের মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। নিজেদের মাঠে এ দিন প্রথম একাদশে দুই বিদেশি ডিফেন্ডার বোরহা গোমেজ এবং মাঝমাঠে জাইমি স্যান্টোসকে রেখে শুরু করেছিলেন লাল হলুদের স্প্যানিশ কোচ। কিন্তু বিদেশিহীন সেনা দলের বিরুদ্ধে একাধিক বার গোলের কাছে পৌঁছেও জালে বল জড়াতে ব্যর্থ হন স্যান্টোস, সামাদরা।
আরও পড়ুন- প্রথম ম্যাচেই হিট চামোরো, সমর্থকদের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করল কিবুর বাগান
দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গলের উপরে চাপ বাড়ান সেনা ফুটবলাররা। তা সামাল দিতে জোড়া বদল করেন অ্যালেজান্দ্রো। রোহলুপুইয়ার বদলে মাঠে আসেন কাসিম আইদারা। অন্যদিকে অভিজিৎ সরকারের বদলে লাল হলুদ জার্সিতে প্রথমবার মাঠে নামেন মোহনবাগান থেকে আসা পিন্টু মাহাতো। তার পরেও অবশ্য কাঙ্খিত গোল পায়নি ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ৭৮ মিনিটে হাওকিপের জায়গায় বিদ্যাসাগর সিংকে নামানো হয়।
এক পয়েন্ট কাড়তে মরিয়া সেনা ফুটবলাররাও তখন সময় নষ্টের খেলা শুরু করে দিয়েছেন। এর মধ্যেই ম্যাচের ৮২ মিনিটে নাটকীয় মুহূর্ত তৈরি হয়। বক্সের বাইরে বেরিয়ে এসে বিদ্যাসাগর সিংকে বিশ্রীভাবে ফাউল করেন সেনা গোলকিপার শানুস। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে লাল কার্ড দেখিয়ে বের করে দেন রেফারি। ফ্রিকিক থেকে দুরন্ত গোল করে লাল হলুদকে স্বস্তি দেন স্যান্টোস। এর পরে আক্রমণের ঝড় তোলে লাল হলুদ ব্রিগেড। যার সুফল হিসেবে ৯১ মিনিটে সামাদের ক্রস থেকে গোল করে যান সেই বিদ্যাসাগর সিং।
এ দিনের ম্যাচেও বার বারই জবি জাস্টিনের অভাব অনুভব করেছেন লাল হলুদ সমর্থকরা। দলে এখনও কোনও বিদেশি স্ট্রাইকারও নেই। বিদেশি স্ট্রাইকারহীন দল নিয়ে কলকাতা লিগ এবং ডুরান্ডে যে লড়াই আরও কঠিন হয়ে যাবে, তা নিশ্চয়ই বুঝে গিয়েছেন দল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কোয়েস কর্তারাও। এখন দেখার, বিদেশি স্ট্রাইকার সমস্যা কতদিনে মেটাতে পারে ইস্টবেঙ্গল। কারণ পড়শি ক্লাবে প্রথম ম্যাচেই জোড়া গোল করে নিজের উপস্থিতি জানান দিয়ে দিয়েছেন সালভা চামোরো!