Durand Cup 2025: প্রথমবার ডুরান্ড কাপে খেলতে নেমেই ফাইনালে পৌঁছে গেল ডায়মন্ড হারবার এফসি (Diamond Harbour FC)। বুধবার সন্ধেবেলা বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ইস্টবেঙ্গলকে ২-১ হারিয়ে দিল ডায়মন্ড হারবার এফসি। অসংখ্য সুযোগ নষ্ট করে হেরে গেল ইস্টবেঙ্গল। ডায়মন্ড হারবারের হয়ে গোল করেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার মিকেল কর্টাজার ইদিয়াকেজ এবং ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন তারকা জবি জাস্টিন। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে একমাত্র গোল করেন আনোয়ার আলি। ইস্টবেঙ্গলের প্রধান কোচ অস্কার ব্রুজোঁ (Óscar Bruzón Barreras) ম্যাচের আগে আত্মতুষ্টি নিয়ে সতর্কতার কথা বলেছিলেন। কিন্তু তাঁর দলের খেলা দেখে বোঝা গেল, কিছুটা আত্মতুষ্টি ছিলই। ময়দানের প্রবাদ হল, কলকাতা ডার্বি (Kolkata Derby) জেতার পরের ম্যাচে জিততে পারে না ইস্টবেঙ্গল। বুধবারও ঠিক সেটাই দেখা গেল।
এদিন প্রথমার্ধে দুই দলই অসংখ্য সুযোগ নষ্ট করে। ডায়মন্ড হারবার এফসি-র স্যামুয়েল লালমুয়ানপুইয়ার শট বারে লেগে ফিরে আসে। আনোয়ার, দিমিত্রিওস দিয়ামান্তাকসরাও গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। প্রথমার্ধে গোল না হওয়ায় দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দলে বদল আনেন অস্কার। লেফট ব্যাক লালচুংনুঙ্গার পরিবর্তে মাঠে নামেন প্রভাত লাকড়া এবং রাইট উইঙ্গার এডমুন্ড লালরিনডিকার পরিবর্তে মাঠে নামেন জিকসন সিং। লেফট উইং থেকে রাইট উইংয়ে চলে আসেন বিপীন সিং। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বক্সের মধ্যে ফাঁকায় বল পেয়েও সাইড নেটে মেরে গোলের সুযোগ নষ্ট করেন দিয়ামান্তাকস। এরপর কর্নার থেকে ফাঁকায় বল পেয়েও তিনি বাইরে হেড নেন। এর কিছুক্ষণ পরেই সহজ সুযোগ নষ্ট করেন বিপীন। ইস্টবেঙ্গলের পরপর আক্রমণে তখন দিশেহারা ডায়মন্ড হারবার এফসি রক্ষণ। পরিস্থিতি সামাল দিতে জোড়া পরিবর্তন করেন প্রধান কোচ কিবু ভিকুনা (Kibu Vicuña)। তাঁর এই কৌশল কাজে লাগে। ৬৬ মিনিটে অসাধারণ ব্যাকভলিতে গোল করেন মিকেল। পরের মিনিটেই সমতা ফেরায় ইস্টবেঙ্গল। প্রায় মাঝমাঠ থেকে আনোয়ারের বাঁ পায়ের গোলার মতো শট জালে জড়িয়ে যায়। সমতা ফেরানোর পর দ্বিতীয় গোল পেতে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে। ৭২ মিনিটে সল ক্রেসপোর পরিবর্তে মাঠে নামেন মহম্মদ বাসিম রশিদ। বাবা প্রয়াত হওয়ায় তিনি দেশে ফিরে গিয়েছিলেন। কলকাতা ডার্বিতে খেলতে পারেননি। বুধবার সকালে কলকাতায় ফিরেই সন্ধেবেলা মাঠে নেমে পড়লেন রশিদ। তাঁকে স্বাগত জানান ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। ৭৯ মিনিটে লেফট উইং থেকে মিগুয়েলের ধনুকের মতো বাঁক খাওয়ানো শট বারে লেগে ফিরে আসে। এর কিছুক্ষণ পরেই জয়সূচক গোল করেন জবি। ৮৩ মিনিটে কর্নার থেকে জটলার মধ্যে গোল হয় জবি।
২০১০ সালে ডুরান্ড কাপ সেমি-ফাইনালে ইউনাইটেড স্পোর্টস ক্লাবের কাছে হেরে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ১৫ বছর পর সেই ডুরান্ড কাপ সেমি-ফাইনালেই ডায়মন্ড হারবার এফসি-র কাছে হেরে গেল ইস্টবেঙ্গল।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।