Kalyan Chaubey: সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (AIFF) সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে থাকছেন কল্যাণ চৌবে। নতুন সংবিধানের বেশিরভাগ ধারাযকেই নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত মনে করছে, ফুটবলারদের বেশি গুরুত্ব দেওয়া এই নতুন সংবিধান ভারতীয় ফুটবলকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারবে।
বিচারপতি নরসিংহ এবং বিচারপতি এ. এস. চন্দুরকরের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের ১৪ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটিতে এখন থেকে অন্তত ৫ জন প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবলারকে থাকতেই হবে। যাদের মধ্যে আবার দুজন হতে হবে মহিলা। অন্যদিকে, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সাধারণ সভা ডেকে নতুন এই সংবিধানকে অনুমোদন দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে যে, সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন আগামী বছর অনুষ্ঠিত হতে পারে এবং ততদিন পর্যন্ত কল্যাণ চৌবের নেতৃত্বাধীন বর্তমান পরিচালন কমিটিই এআইএফএফ-এর দায়িত্বে থাকবে।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হতে আর মাত্র এক বছর বাকি রয়েছে। তাই তাদের মেয়াদ পূর্ণ করতে দেওয়া হোক। আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে নতুন সংবিধান অনুমোদন করার জন্য ফিফা ইতিমধ্যেই AIFF-কে চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। এবার সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদনের ফলে, ফেডারেশনের উপর ফিফার নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা অনেকটাই দূর হল।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, প্রাক্তন বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সংবিধানকে সংশোধনের নেতৃত্ব দেন। নতুন সংবিধান অনুযায়ী, পরিচালন কমিটিতে একজন সভাপতি, দুজন সহ-সভাপতি, একজন কোষাধ্যক্ষ এবং দশজন সদস্য থাকবেন।
অন্যদিকে, কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা হতে হবে ৭০ বছর। টানা আট বছর পদে থাকার পর, চার বছরের 'কুলিং অফ' পিরিয়ড শেষ হলেই পুনরায় সেই পদে আসা যাবে। নতুন সংবিধানে বলা হয়েছে, একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১২ বছর পর্যন্ত পদে একটি থাকতে পারবেন। সবথেকে বড় বিষয় হল, অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে সভাপতি সহ কর্মকর্তাদের তাদের পদ থেকে সরানো যাবে, যা বর্তমান সংবিধানে একেবারেই সম্ভব নয়।