তিনি ছয়বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। কিন্তু, অলিম্পিকে তাঁর পছন্দের ৪৮ কেজি বিভাগ না থাকায়, এই প্রথমবার ওজন বাড়িয়ে কোনও প্রচিযোগিতায় ৫১ কেজির বিভাগে লড়লেন ভারতীয় বক্সিং রিং-এর রাণি এমসি মেরি কম। শুধু তিনিই নন, কানায় কানায় পূর্ণ গুয়াহাটির কর্মবীর নবীনচন্দ্র বরদোলোই ইন্ডোর স্টেডিয়ামের দর্শকদের হতাশ করেননি শিবা থাপা, সরিতা দেবীদের মতো অভিজ্ঞ ভারতীয় বক্সাররা। স্বর্ণপদক জিতেছেন, তরুণ অমিত পঙ্ঘলও। সব মিলিয়ে ভারত মোট ১২টি সোনা জিতে টুর্নামেন্ট শেষ করল।
হেলায় নেপালি প্রতিপক্ষকে পরাজিত করে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিলেন ম্য়াগনিফিশেন্ট মেরি। কিন্তু সেমিফাইনালে আরেক ভারতীয় বক্সিং তারকা নিখাত জারিন তাঁকে কড়া লড়াই ছুড়ে দিয়েছিলেন। সেই বাধা টপকানোর পর, ফাইনালে ফের চেনা মেরি কম-কে দেখা গিয়েছে। নিরূদ্বিগ্ন, শান্তভাব ধরে রেখেই মাত করলেন প্রতিপক্ষ ভারতের প্রাক্তন জাতীয় চ্যম্পিয়ন ভানলাল দুয়াতিকে।
অন্যদিকে সাম্প্রতিককালে সময়টা ভালো যাচ্ছিল না শিবা থাপার। এই টুর্নামেন্ট তাঁর প্রত্যাব্তনের টুর্নামেন্ট বলা যেতে পারে। ৬০ কেজি বিভাগের ফাইনালে দেশোয়ালি মনীশ কৌশিককে সহজেই পরাজিত করলেন শিবা। একেবারে জমাট রক্ষণের সঙ্গে শক্তিশালী ও দ্রুতগতির আক্রমণের সমন্বয়ে সাফল্য পেয়েছেন তিনি।
আরেক অভিজ্ঞ সরিতা দেবীও প্রতিভাবান তরুণ বক্লার সিমরনজিৎ কৌর-কে ৩-২ ফলে পরাজিত করেছেন।
তবে টুর্নামেন্টের সেরা লড়াইটি সম্ভবত হয়েছে দুই তরুণ ভারতীয় বক্সার অমিত পঙ্ঘল ও সচিন সিওয়াচের মধ্যে। তীব্র প্রতিযোগিতার শেষে জয়ী হন অমিত।
বিজয়ীদের সম্পূর্ণ তালিকা -
পুরুষ: ৪২ কেজি: দীপক সিং (ভারত); ৫২ কেজি: অমিত পঙ্ঘল (ভারত); ৫৬ কেজি: চাটচাই দেচা বুটদি (থাইল্যান্ড); ৬০ কেজি: শিবা থাপা (ভারত); ৬৪ কেজি: কলিন লুই রিচার্নো (এমআরআই); ৬৯ কেজি: আশিষ (ভারত); ৭৫ কেজি: ইউমির ফেলিক্স দেলোস সান্টোস (ফিলিপাইন্স); ৮১ কেজি: মনীশ পাওয়ার (ভারত); ৯১ কেজি: নমন তানওয়ার (ভারত); +৯১ কেজি: সতীশ কুমার (ভারত)।
মহিলা: ৪৮ কেজি: জোসি আনাপে গাবুসো (ফিলিপাইন্স); ৫১ কেজি: এমসি মেরি কম (ভারত); ৫৪ কেজি: জুমনা বোরো (ভারত); ৫৭ কেজি: নীরাজ (ভারত); ৬০ কেজি: লৈশ্রম সরিতা দেবী (ভারত); ৬৪ কেজি: ফ্রান্সেসা আমাতো (ইতালি); ৬৯ কেজি: অ্যাসুনটা ক্যানফোরা (ইতালি); ৭৫ কেজি: ভাগ্যবতী কাছারি (ভারত)।