করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে এখনও শুরু হয়নি অ্যাথলিটদের জাতীয় স্তরের কোনও খেলা। এই মহামারীর কারণেই জাতীয় স্প্রিনটার হিমা দাস এখনও যোগ্যতা অর্জিন করতে পারেননি টোকিও অলিম্পিকের জন্য। সঙ্গে গত বছর চোট সমস্যায় জর্জরিত ছিলেন হিমা। কিন্তু এখন চোট কাটিয়ে উঠেছেন। চোট সরিয়ে পাতিয়ালায় সাই-তে ফিটনেস ট্রেনিং চালিয়ে যাচ্ছেন। ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলনও করছেন। এখন শুধু ট্র্যাকে ফেরার অপেক্ষায় ধিং এক্সেপ্রেস।
আরও পড়ুনঃক্রমশ বাড়ছে আতঙ্ক,ফের বাংলা ক্রিকেটে করোনা ভাইরাসের থাবা
একইসঙ্গে নিজেকে অতিরিক্ত পরিমাণে ফিট রাখার জন্য পাতিয়ালার জাতীয় শিবিরে ক্রিকেটও খেলছেন হিমা দাস। তিনি জানিয়েছেন,'আমি এখনও ট্র্যাকে নেমে প্র্যাকটিস শুরু করিনি। কোচেরা যখন আমায় অনুমতি দেবেন তখনই নামব। তবে এখন আমি ফিট। তবে ব্যক্তিগতভাবে নিজেকে যতটা ফিট রাখাযায় তার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।' পাশাপাশি নিজের ক্রিকেট খেলার প্রসঙ্গে হিমা জানিয়েছেন,'পাতিয়ালাতে খুব গরম। ভোর বেলায় কিছুটা ট্রেনিং করার পর সন্ধ্যেবেলায় আমার কাটতো ক্রিকেট বোলিং করে। ও সাইকেল চালাই। নিজেকে ফিট রাখার জন্য অই উদ্যোগ।' সোশ্যাল মিডিয়ায় সই ছবিও শেয়ার করেছেন হিমা দাস।
আরও পড়ুনঃইষ্টবেঙ্গল-এটিকে মোহনবাগান ডার্বি দিয়ে শুরু হতে পারে কলকাতা লিগ
অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জন করা নিয়েও কোনও চিন্তার লেশটুকু নেই ধিং এক্সপ্রেসের মধ্যে। তিনি বলেন,'অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জন নিয়ে আমি চিন্তিত নই। কারণ এতে উৎকণ্ঠা বাড়ে। এখনও সময় রয়েছে। আগে এই অতিমারির কবল থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য প্রার্থনা করছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ১ ডিসেম্বর থেকে ফের অ্যাথলেটিক্স শুরু হতে পারে। তখন আগামী বছর অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জনের জন্য অনেক সময় পাওয়া যাবে।' প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে বিশ্ব জুনিয়র অ্যাথলেটিক্স মিটে ঠিক দু’বছর আগে সোনা জিতে নজির গড়েছিলেন হিমা দাস। টোকিও অলিম্পিকেও তাকে ঘিরে স্বপ্ন দেখছে ১৩০ কোটির দেশ।