শুধু প্রথম ভারতীয় নয়, এশিয়ার প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের (এফআইএইচ) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন নরিন্দর বাত্রা। ৪৫-তম এফআইএইচ কংগ্রেসে বিপূল ভোটে জয় পয়েছিলেন তিনি। এফআইএইচের সভাপতির দায়িত্বের পাশাপাশি ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের দায়িত্বও সামলাচ্ছিলেন তিনি। এবার দ্বিতীয় বারের জন্য আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের সবাপতি পদের জন্য ভোটে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন নরিন্দর বাত্রা। নিজের মনোনয়ন পত্রও সংস্থার কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে আইওসির সদস্য নরিন্দর বাত্রা নিজের জমা দেওয়া চিঠিতে লিখেছেন,' বিগত ৫ বছর ধরে আমার কাজের অভিজ্ঞতা, আপনাদের উৎসাহ ও কাজের প্রতি আমার নিষ্ঠা থেকে আমি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, এফআইএইচের উন্নতি জন্য এবং আমার লক্ষ্য পূরণের জন্য আমি আমার কাজ চালিয়ে যেতে চাই। একইসঙ্গে হকির যাবতীয় উন্নয়নের কাজে নিজেকে অংশীদর করতে চাই' এছাড়াও এফআইএইচের কাছে তিনি আবেদন করেন,'আসন্ন নির্বাচনে আমি আমার প্রতিনিধিত্ব ঘোষণা করছি এবং আপনারা যদি অনুমতি দেন তাহলে আমি আমার কাজ চালিয়ে যেতে চাই।'
নরিন্দর বাত্রা মেয়াদ শেষ হয়েছিল গত বছর। কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের কংগ্রেসস অনুষ্ঠিত হয়নি। যার ফলে এক বছর মেয়াদ বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে চলতি মাসের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত বিশ্ব জুড়ে এই পদের জন্য মনোনয়নের জমা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে এফআইএইচ। আগামি মে মাসে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এই বৈঠকের। কিন্তু একাধিক দেশে এখনও মহামারীর কারমে ভ্রমণে সমস্যা থাকায় ভিডিওয় কনফারেন্সের মাধ্যমে এফআইএইচের কংগ্রেস অধিবেশন হতে পারে বলেই খবর।
নির্বাচনে নরিন্দর বাত্রা পুনরায় দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করলেও, তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের একাধিক সদস্যের নানা অভিযোগ রয়েথে। একদিকে আইওসির মেম্বার, অপরদিকে এফআইএইচ সভাপতির দায়িত্ব, দুটি পদে একসঙ্গে থাকায় অনেকেই আপত্তি করেছেন। তার আমলে হকি ফেডারেশনন আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এখন দেখার বিষয় এটাই সব বিতর্ককে সরিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের সবাপতি পদে মনোনীত হন কিনা নরিন্দর বাত্রা। তবে নিজের প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী বাত্রা।