টেনিস বিশ্বে মহিলা বিভাগে এখন তাঁকে চ্যালেঞ্জ করার মত কেউ নেই। দশম বারের জন্য ইউএস ওপেনের ফাইনালে পৌছে সেটাই যেন বুঝিয়ে দিলেন মার্কিন টেনিস তারকা। ফ্লাশিং মিডোয় সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষকে কার্যত উড়িয়ে দিলেন সেরেনা উইলিয়ামস। এলিনা সিতোলিনা মার্কিন তারকার সামনে কোনও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলেন না। সেরেনা জিতলেন ৬-৩, ৬-১ এ। অন্য একটি সেমিফাইনালে জয় তুলে নিলেন কানাডার বিয়ানকা। তিনিও শেষ চারের লড়াই জিতলেন স্ট্রেট সেটে। বিয়ানকা ও বেনচিচের লড়াইয়ের ফল ৭-৬, ৭-৫। ফাইনালে এবার অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের লড়াই।
যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের ফাইনালে এক অনন্য নজিরের সামনে দাড়িয়ে সেরেনা উইলিমায়স। ২৪তম গ্র্যান্ডস্ল্যামের মুখে দাঁড়িয়ে সেরেনা। আরও একবার ইুএস ওপেনের ট্রফি হাত তুলতে পারলেই সবার ওপেরে থাকা মার্গারেট কোর্টের সঙ্গে এক আসনে চলে আসবেন সেরেনা। খেতাব জিততে পারলে রেকর্ড সপ্তমবারের জন্য ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন হবেন তিনি। সেমিফাইনালে এলিনা সিতোলিনাকে হারিয়ে, ফ্ল্যাশিং মিডোয় ১০১তম ম্যাচ জিতেছেন টেনিসের সুপার মম। অন্যদিকে এবারের ইউএস ওপেনে স্বপ্নের দৌড় চলছে কানাডার বিয়ানকার। সেমিফাইনালে পৌছেই তিনি বলেছিলেন, সবটাই স্বপ্নের মত লাগছে। এবার ফাইনালেও পৌছে গেলেন বিয়ানকা। স্বপ্নের ঘোর তাঁর কাটছে না। সেরেনাকে কতটা চ্যালেঞ্জ তিনি ছুঁড়ে দিতে পারেন সেটাই এখন দেখার।
১৯৯৮ সালে সালে প্রথমবার ইউএস ওপেনের মঞ্চে এসেছিলেন সেরেনা। ১৯৯৯ সালেই ফ্ল্যাশিং মিডোয় জিতেছিলেন প্রথম খেতাব। ২০ বছর পর কি আরও একটা খেতাব অপেক্ষা করছে সেরেনার জন্য ? মার্কিন টেনিস তারকা তাঁর এই সাফল্যের ভাগ করে নিচ্ছেন দর্শকদের সঙ্গে। ফাইনালে পৌছে বললেন, "আপনাদের ছাড়া এই সাফল্য সম্ভব ছিল না। ২০ বছর এই মঞ্চে আপনারা আমার সঙ্গে আছেন। ধন্যবাদ" রজার্স কাপে গতমাসেই বিয়ানকার সঙ্গে দেখা হয়েছিল সেরেনার। সেই ম্যাচে চোটের জন্য নাম তুলে নিতে হয় সেরেনাকে। সেদিন প্রথম সেটে ৩-১ এ এগিয়েছিলেন কানাডার তরুণী। শনিবার ফ্ল্যাসিং মিডোয় আরও একটা স্বপ্নের ম্যাচ কি খেলতে পারবেন কানাডর টিনএজার? তিনি যে বছর জন্মেছেন তার এক বছর আগে প্রথমবার ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন সেরেনা। শনিবারের ফাইনালে তাই ৩৭ এর অভিজ্ঞতার সঙ্গে লড়াই ১৯ এর তারুণ্যের।