ভয় কাটিয়ে উঠলেই আর সমস্যা থাকে না, বলছেন দেশের কনিষ্ঠতম এভারেস্ট বিজয়ী

প্রাচীনকাল থেকে ভারতীয়দের হাতছানি দিয়ে আসছে হিমালয় পর্বতমালা। শুধু আধ্যাত্মিক কারণেই নয়, পর্যটনের ক্ষেত্রেও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হিমালয়। যাঁরা অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসেন, তাঁদের কাছে সবচেয়ে প্রিয় হিমালয়।

Web Desk - ANB | Published : Feb 4, 2023 3:19 AM IST

১৩ বছর ১১ মাস বয়সে মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন। কনিষ্ঠতম ভারতীয় ও কনিষ্ঠতম মহিলা হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয় করার রেকর্ড গড়েছেন পূর্ণা মালাবাত। ২০১৪ সালের ২৫ মে তিনি এই রেকর্ড গড়েন। তারপর আরও অনেক শৃঙ্গ জয় করেছেন পূর্ণা। এখনও পাহাড় সমান আকর্ষণ করে তাঁকে। মাত্রুভূমি ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভ্যাল অফ লেটারসে পর্বতারোহণ সম্পর্কে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন পূর্ণা। তাঁর মতে, প্রথম পদক্ষেপ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ভয় পেলে চলবে না। একবার ভয় কাটিয়ে উঠতে পারলেই আর কোনও সমস্যা থাকে না। তখন যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করা সম্ভব। তরুণ প্রজন্মকে পর্বতারোহণে উৎসাহ দিচ্ছেন পূর্ণা। তিনি নিজে যেমন অল্প বয়স থেকে ঝুঁকি নিচ্ছেন, তেমনই তরুণ-তরুণীদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দিচ্ছেন দেশের কনিষ্ঠতম এভারেস্ট বিজয়ী। তাঁর মতে, ঝুঁকি না নিয়ে নিরাপদে থাকা সহজ। কিন্তু তাতে রোমাঞ্চ নেই। 

পূর্ণা জানিয়েছেন, 'আমার জন্ম যে গ্রামে, সেখানে দেশলাই কিনতে হলেও ৭ কিলোমিটার দূরে যেতে হত। আমার গ্রাম থেকে সবচেয়ে কাছের হাসপাতালের দূরত্ব ছিল ৬০ কিলোমিটার। সেখান থেকে আমার পক্ষে পর্বতারোহণকে বেছে নেওয়া সহজ ছিল না। অনেকেই প্রশ্ন করতেন, একটা মেয়ে হয়ে আমি কেন পাহাড়ে ওঠার চেষ্টা করছি? তাঁদের মতে, একটা মেয়ে কিছুদিন পড়াশোনা করবে, তারপর বিয়ে করে সংসারে মন দেবে। এটাই মেয়েদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। কিন্তু আমি ১৩ বছর বয়সে পর্বতারোহী হব বলে ঠিক করি। আজ আমি আপনাদের সামনে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট হিসেবে দাঁড়িয়ে আছি। আমি মাউন্ট এভারেস্ট-সহ ৭টি পর্বতশৃঙ্গ জয় করেছি। আমার এক বন্ধুর ১৩ বছর বয়সেই বিয়ে হয়ে যায়। আমরা যে স্কুলে একসঙ্গে পড়াশোনা করেছি সেখানেই এখন ওর সন্তানরা পড়ছে।'

পূর্ণা আরও জানিয়েছেন, ‘আমি যখন প্রথমবার রক ক্লাইম্বিং প্রশিক্ষণ নিতে যাই, তখন একজন উপর থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পায়। সেটা দেখে আমি ভয়ে কাঁপছিলাম। কিন্তু আমি ভালোভাবেই প্রশিক্ষণ শেষ করি। এরপর আমার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। তারপর আর কোনওদিন ঝুঁকি নিতে ভয় পাইনি। বাবা-মাকে যদি বোঝানো যায় যে নিজের লক্ষ্য পূরণ করার ক্ষমতা আছে তাহলে তাঁরা নিশ্চয়ই সাহায্য করবেন। আমার পরিবারও সবসময় সাহায্য করেছে। তার ফলেই আমি সফল হতে পেরেছি।’

আরও পড়ুন-

প্রধানমন্ত্রীর 'মন কি বাত'-এ উঠে এসেছে, জনপ্রিয়তা বাড়ছে পুলওয়ামার স্নো ক্রিকেটের

দেশেই স্কাইডাইভিংয়ের রোমাঞ্চ উপভোগ করার সুযোগ, সাহসে ভর করে এগিয়ে যাচ্ছেন পর্যটকরা

এবারের চাদর ট্রেকে যোগ দিলেন ৬২ বিদেশি-সহ ১৩২৫ জন অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী

Share this article
click me!