'খেলাই জীবনের সবকিছু,' বলছেন সারা বিশ্বে অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠা উসেইন বোল্ট

২০০৮ সালে বেজি অলিম্পিক্স, ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিক্স এবং ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিক্স মিলিয়ে ৮টি সোনা জিতেছেন উসেইন বোল্ট। অলিম্পিক্সে তিনি সোনা ছাড়া অন্য কোনও পদক জেতেননি।

২০০৮ সালে বেজিং অলিম্পিক্সে ৪×১০০ মিটার রিলে দৌড়ে ডিসকোয়ালিফায়েড হন উসেইন বোল্ট। অলিম্পিক্সে এই একটি ইভেন্টেই তিনি পদক পাননি। বাকি সব ইভেন্টেই সোনা জিতেছেন।

২০০৯ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১১টি সোনা জেতেন উসেইন বোল্ট। ২০০৭ সালে ২টি রুপো ও ২০১৭ সালে ১টি ব্রোঞ্জ পান বোল্ট।

কিশোর উসেইন বোল্টের উপর মাঝেমধ্যেই খাপ্পা হয়ে উঠতেন কোচ পাবলো ম্যাকনিল। কারণ, প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও অ্যাথলেটিক্সকে গুরুত্ব দিতেন না বোল্ট। পরে অবশ্য অসাধারণ সাফল্য পান বোল্ট।

ছোটবেলা থেকে ভাইয়ের সঙ্গে রাস্তায় ফুটবল, ক্রিকেট খেলতেন উসেইন বোল্ট। হাইস্কুলে পড়ার সময়ও তিনি ক্রিকেট খেলতেন। কিন্তু স্কুলের সেরা রানার হয়ে ওঠার পর ক্রিকেট কোচই তাঁকে অ্যাথলেটিক্সে মন দিতে বলেন।

উসেইন বোল্ট একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'আমি খেলার মধ্যে দিয়েই বড় হয়ে উঠেছি। খেলাই আমার কাছে সবকিছু। খেলা ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে ভাবিনি।'

২০০২ সালে বিশ্ব জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ২০০৩ সালে বিশ্ব জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জেতেন উসেইন বোল্ট। কিন্তু তারপরেও তাঁর চলার পথ সহজ হয়নি। পেশাদার হয়ে ওঠার জন্য অনেক লড়াই করতে হয়।

২০০৮ সালে বেজিং অলিম্পিক্সে ১০০ মিটার ও ২০০ মিটার দৌড়ে সোনা জেতেন উসেইন বোল্ট। এরপর আর কেউ তাঁকে থামাতে পারেননি।

এখনও উসেইন বোল্টের অন্যতম প্রিয় খেলা ফুটবল। অ্যাথলেটিক্স থেকে অবসর নেওয়ার পর ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে খেলার ইচ্ছাপ্রকাশও করেন বোল্ট।

২০০৯ সালে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে বিশ্বরেকর্ড গড়েন উসেইন বোল্ট। তিনি ৯.৫৮ সেকেন্ডে ১০০ মিটার দৌড় শেষ করেন। বোল্ট জানিয়েছেন, তিনি রেকর্ড গড়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। কোচ ও ম্যাসিওরের সঙ্গে বাজিও ধরেছিলেন।