টোকিও অলিম্পিকে সোনা জিতে নতুন ইতিহাস তৈরি করলেন নীরজ চোপড়া। কঠিন লড়াইয়ের পর পর ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন নীরজ। দেশ জুড়ে শুভেচ্ছা বার্তা। উচ্ছ্বসিত অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের প্রধানও।
টোকিও অলিম্পিকে জ্যাভলিন থ্রোয়ে সোনা জিতে দেশবাসীর স্বপ্নপূরণ নয়, একগুচ্ছ রেকর্ড তৈরি করেছেন নীরজ চোপড়া। ২০০৮ বেজিং অলিম্পিকে অভিনব বিন্দ্রার পর দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনা পেলেন নীরজ চোপড়া। একইসঙ্গে স্বাধীনতার পর অলিম্পিক্স অ্যাথলেটিক্সে প্রথম পদক জিতল ভারত। নীরজের সোনা জয়ের সৌজন্য সঙ্গে সঙ্গে টোকিও অলিম্পিকে ভারত ছাপিয়ে গেল লন্ডন অলিম্পিককেও। লন্ডনে ভারতের ঝুলিতে এসেছিল ৬টি পদক, যা ছিল সর্বোচ্চ। এদিন নীরজের সোনা জয়ে টোকিও অলিম্পিকে ভারতের পদক সংখ্যা হল ৭। নীরজের সোনা জয়ে দেশজুড়ে উৎসবের পরিবেশ।
নীরজ চোপড়ার এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত প্রাক্তন ভারতীয় দৌড়বিদ এবং বর্তমানে ভারতীয় অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের প্রধান আদিল সুমারিওয়ালা। এশিয়ানেট নিউজকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন,'দেশের হয়ে ঐতিহাসিক সোনা জয়ের জন্য আমরা সকলেই খুব খুশি। এছাড়া অ্যাথলেটিক্সে প্রথম সোনা জয়ের জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই রোমাঞ্চিত। অ্যাথলেটিক্স বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি খেলাধুলার বিশুদ্ধতম রূপ। নিক্ষেপ, দৌড়, লাফ ইত্যাদি সব প্রাকৃতিক খেলা এবং সাধারণত বিশেষ যন্ত্রপাতি ছাড়াই করা যায়।' নীরজ চোপড়াকে শুভেচ্ছা ও তার ঐতিহাসিক পারফরমেন্সের জন্য অভিনন্দন জানান।
প্রসঙ্গত শনিবার জ্যাভলিন থ্রোয়ের ফাইনালে প্রথম রাউন্ডে নীরজ জ্যাভলিন ছোড়েন ৮৭.০৩ মিটার। শীর্ষে থেকে প্রথম রাউন্ড শেষ করেন। দ্বিতীয় রাউন্ডে নিজেকে ছাপিয়ে গিয়ে নীরজ ছোড়েন ৮৭.৫৮ মিটার। দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষেও শীর্ষস্থান ধরে রাখেন তিনি। কিন্তু তৃতীয় থ্রো ততটা ভালো হয়নি। ৭৬.৭৯ মিটার ছোড়েন নীরজ। তবে নীরজের দ্বিতীয় থ্রো কেউ টপকাতে না পারায় শীর্ষস্থান ধরে রাখেন নীরজ। চতুর্থ ও পঞচম প্রচেষ্টা ফাউল হয় নীরজে। কিন্তু সেরা তিনে থাকার দৌলতে পদক পঞ্চম থ্রোয়ের পরই নিশ্চিৎ করে ফেলেন নীরজ। ষষ্ঠ তথা শেষ প্রচেষ্টায় ৮৪.২৪ মিটার ছোঁড়েন নীরজ। তবে বাকি কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নীরজের দ্বীতিয় থ্রোয়ের দূরত্ব টপকাতে না পারায় তাঁর সোনা জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।