
মহাকুম্ভ নগর। মহাকুম্ভে বসন্ত পঞ্চমীর অমৃত স্নানের বিশেষ গুর্য। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে বসন্ত পঞ্চমীর দিন কলা, সংস্কৃতি, বিদ্যা এবং জ্ঞানের দেবী মা সরস্বতীর প্রাগট্য হয়েছিল। প্রয়াগরাজে ত্রিবেণী সঙ্গমে মা সরস্বতীর পূজা করে অমৃত স্নান করার ঐতিহ্য রয়েছে। আজ সকাল থেকেই আখড়াগুলি ঐতিহ্য অনুযায়ী দিব্য শোভাযাত্রার সাথে অমৃত স্নান করেছে। এর সাথেই কোটি কোটি শ্রদ্ধালুর সাথে কল্পবাসীরাও পবিত্র ত্রিবেণীতে স্নান করেছেন। কল্পবাসীরা বিধি অনুযায়ী ব্রত পালন করে সকাল থেকেই সঙ্গমে স্নান করে সূর্যকে অর্ঘ্য দিয়ে সরস্বতী পূজাও করেছেন।
মহাকুম্ভ ২০২৫-এ ১০ লক্ষেরও বেশি শ্রদ্ধালু প্রয়াগরাজে সঙ্গম তীরে কল্পবাস করছেন। যারা প্রতিদিন পুরো মাঘ মাস তিন কাল নিয়ম অনুযায়ী গঙ্গায় স্নান এবং ব্রত পালন করেন। মহাকুম্ভে বসন্ত পঞ্চমীর স্নানের বিশিষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। কল্পবাসীরা নিয়ম অনুযায়ী মৌনব্রত রেখে ব্রাহ্মমুহূর্তে পবিত্র ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করেছেন। মহাকুম্ভের বিশাল মেলা অঞ্চলের আলাদা আলাদা ক্ষেত্রে বসবাসকারী কল্পবাসীরা প্রত্যূষেই পায়ে হেঁটে সঙ্গম তীরে আসছিলেন। তারা কোটি কোটি শ্রদ্ধালু এবং সন্ন্যাসীদের আখড়ার সাথে অমৃত স্নান করেছেন।
পৌরাণিক বিশ্বাস বসন্ত পঞ্চমীর দিন মা সরস্বতীর প্রাগট্য হয়েছিল। বর্তমান কালে তীর্থরাজ প্রয়াগরাজেই মা সরস্বতীর বাস। যিনি অন্তঃসলিলা রূপে গঙ্গা, যমুনার সঙ্গমে মিলে পবিত্র ত্রিবেণী তৈরি করেন। বসন্ত পঞ্চমীর দিন প্রয়াগরাজে ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। আজকের দিনে কল্পবাসীরা বিধি অনুযায়ী সঙ্গম স্নান করে সরস্বতী পূজা করেছেন। সঙ্গম স্নানের পর মা সরস্বতীকে শ্বেত বস্ত্র এবং শ্বেত পুষ্প অর্পণ করে তাঁর স্তুতি করেছেন। শ্রদ্ধালু এবং কথকগণ তাদের শাস্ত্র এবং গ্রন্থগুলিরও পূজা করেছেন। এরপর দই এবং চিঁড়ার দান করে সবাই প্রসাদ গ্রহণ করেছেন। সাহিত্য, কলা, সংগীত এবং শিক্ষা জগতের সাথে যুক্ত ব্যক্তিরাও শহর জুড়ে জায়গায় জায়গায় মা সরস্বতীর পূজা করেছেন।