
উত্তরপ্রদেশের ডিজিটাল বিপ্লব: যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে উত্তরপ্রদেশ ডিজিটাল বিপ্লব এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে এক নতুন কীর্তি তৈরি করেছে। ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার (ডিবিটি) থেকে ডিজিটাল লেনদেনে উত্তরপ্রদেশ আজ দেশের সামনে একটা উদাহরণ। নীতি আয়োগ উত্তরপ্রদেশকে 'ফ্রন্ট রানার' হিসেবে ঘোষণা করেছে, সেইসঙ্গে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২৪-২৫ সালে রাজ্যের কর অংশ ১১.৬%, যা মহারাষ্ট্রের পরে দেশে সর্বোচ্চ। এই অর্জন নিঃসন্দেহে মুখ্যমন্ত্রী যোগীর প্রচেষ্টায় উত্তরপ্রদেশকে উন্নয়নের পথে অগ্রণী রাজ্য করে তুলেছে।
ডিজিটাল লেনদেনে শীর্ষে উত্তরপ্রদেশ
উত্তরপ্রদেশ ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে দেশে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। ২০১৭-১৮ সালে যেখানে রাজ্যে ₹১২২.৮৪ কোটি টাকার ডিজিটাল লেনদেন হয়েছিল, সেখানে ২০২৪-২৫ সালের ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত এই সংখ্যা ₹১০২৪.৪১ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এর মধ্যে ইউনিফাইড পেমেন্টস ইন্টারফেস (ইউপিআই)-এর অর্ধেকেরও বেশি অবদান রয়েছে। ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের সহজলভ্যতা, গ্রাম পর্যন্ত ইন্টারনেটের প্রসার, আর্থিক সচেতনতা এবং পর্যাপ্ত সরঞ্জাম এই বিপ্লবকে উত্তরপ্রদেশে সম্ভব করে তুলেছে।
ডিবিটির মাধ্যমে সরাসরি সুবিধা পাচ্ছেন সুবিধাভোগীরা
ডিবিটির মাধ্যমে যোগী সরকার ১১ টি বিভাগের ২০৭ টি প্রকল্পের আওতায় ৯ কোটি ৮ লক্ষেরও বেশি মানুষের অ্যাকাউন্টে ১,১১,৬৩৭ কোটি টাকা দিয়েছে। এর মধ্যে ১১৩ টি কেন্দ্রীয় এবং ৯৪ টি রাজ্য সরকারের প্রকল্প রয়েছে। এই ব্যবস্থা কেবল প্রকল্পের যোগ্যতায় স্বচ্ছতা বৃদ্ধিই করেনি, বরং ₹১০ হাজার কোটি টাকাও সাশ্রয় করেছে। এই প্রক্রিয়া কেবল দুর্নীতি রোধই করে না, বরং প্রকৃত সুবিধাভোগীদের কাছে সরাসরি সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রেও কার্যকর। উত্তরপ্রদেশ এই ক্ষেত্রে ডিজিটাল বিপ্লবের সেরা উদাহরণ হিসেবে উঠে এসেছে।
জিএসডিপিতে দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি
১৯৫০ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের জিএসডিপি মাত্র ১২.৭৫ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছেছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নীতির উপর জনগণের আস্থা এবং ২০১৭ সাল থেকে যোগী সরকারের পরিশ্রমের ফলে গত আট বছরে এই সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে ২০২৪-২৫ সালে ২৭.৫১ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। দেশের জিডিপিতে ৯.২% অবদানের সাথে উত্তরপ্রদেশ এখন দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক অবদানকারী। ২০২৩-২৪ সালে যেখানে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৯.৬% ছিল, সেখানে উত্তরপ্রদেশ ১১.৬% হারে এগিয়ে গিয়ে তার অর্থনৈতিক শক্তি প্রদর্শন করেছে।
রাজস্ব স্বাস্থ্যেও উন্নতি
নীতি আয়োগের প্রতিবেদনে উত্তরপ্রদেশকে রাজস্ব অবস্থার দিক থেকে 'ফ্রন্ট রানার' ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৮-১৯ থেকে ২০২২-২৩ সালের মধ্যে রাজ্যের 'ফিসক্যাল হেলথ ইনডেক্স'-এ ৮.৯ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। মূলধনী ব্যয়েও উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে, যা মোট ব্যয়ের ১৪.৮% থেকে বেড়ে ১৯.৩% হয়েছে। এই অনুপাত দেশের প্রধান রাজ্যগুলির গড়ের চেয়ে বেশি। আরবিআইয়ের ২০২৪-২৫ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশের নিজস্ব কর থেকে আয়ের অনুপাত ১০%, যা জাতীয় গড় ৭.২% এর চেয়ে অনেক বেশি।