
লখনউ: মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দূরদর্শী চিন্তাভাবনা এবং শক্তিশালী পরিকল্পনার প্রভাব এখন স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। উত্তরপ্রদেশে স্টার্টআপ, আইটি এবং ডেটা সেন্টার সেক্টর খুব দ্রুত এগিয়ে চলেছে। গত কয়েক বছরে, রাজ্য ডিজিটাল উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে দারুণ উন্নতি করেছে। এই কারণে, উত্তরপ্রদেশ এখন দেশের একটি বড় ডিজিটাল হাবে পরিণত হচ্ছে। ইনফোসিস, অ্যাডোব, আইবিএম এবং টেলি পারফরম্যান্সের মতো বড় আইটি সংস্থাগুলি উত্তরপ্রদেশে বিনিয়োগ করেছে। এর ফলে রাজ্যের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে শক্তিশালী হয়েছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য কর্মসংস্থানও তৈরি হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী যোগীর লক্ষ্য হল উত্তরপ্রদেশকে স্টার্টআপ, আইটি এবং ডেটা প্রসেসিংয়ের একটি বড় কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা। তাঁর এই চিন্তাভাবনার প্রভাবও দেখা যাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে স্টার্টআপদের দেওয়া আর্থিক সাহায্য প্রতি বছর বাড়ছে। ২০২১-২২ সালে যেখানে মাত্র ২৭৪ লক্ষ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছিল, ২০২২-২৩ সালে তা বেড়ে ৮৬৬ লক্ষ টাকা হয়। এরপর ২০২৩-২৪ সালে এই পরিমাণ ১,৩২৬ লক্ষ টাকায় পৌঁছায়। এখন ২০২৫ সালে সরকার স্টার্টআপ উৎসাহ হিসেবে ২,৬০০ লক্ষ টাকা উপলব্ধ করেছে। এই ক্রমবর্ধমান সাহায্য প্রমাণ করে যে রাজ্য সরকার স্টার্টআপদের দৃঢ়ভাবে সমর্থন করছে এবং পুরো স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়।
যোগী সরকারের আইটি এবং আইটিইএস নীতিও রাজ্যে একটি বড় পরিবর্তন এনেছে। ২০২৫ সালের শুরুতেই দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে ২৮.৩৪ কোটি টাকার বিনিয়োগ এসেছে, যা ১,৬০০টি নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি করেছে। এরপর সেপ্টেম্বর ২০২৫-এর পরে রাজ্য তিনটি বড় বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে, যার মোট পরিমাণ ৮৬৮ কোটি টাকা। এই প্রস্তাবগুলির মাধ্যমে প্রায় ৭,৮০০টি কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইনফোসিস, অ্যাডোব, আইবিএম এবং টেলি পারফরম্যান্সের মতো বড় সংস্থাগুলি বিনিয়োগ করে উত্তরপ্রদেশকে আইটি এবং টেক সেক্টরে দেশের নতুন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলছে।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের চিন্তাভাবনার অধীনে তৈরি ডেটা সেন্টার নীতি ২০২১ উত্তরপ্রদেশর চিত্র বদলে দিয়েছে। এই নীতির কারণে অনেক বড় বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে NIDP-এর ৯,১৩৪ কোটি টাকা, এনটিটি গ্লোবাল ডেটা সেন্টারের ১,৬৮৭ কোটি টাকা, আদানি এন্টারপ্রাইজের দুটি ভিন্ন প্রকল্পে ২,৪১৬ কোটি এবং ২,৭১৩ কোটি টাকা, এবং এসটি টেলি মিডিয়া গ্লোবাল ডেটা সেন্টারের ২,১৩০ কোটি টাকা। এই সমস্ত প্রকল্পে দ্রুত কাজ চলছে, যার ফলে উত্তরপ্রদেশ দেশের অন্যতম বড় ডেটা হাবে পরিণত হচ্ছে।
স্টার্টআপ, আইটি এবং ডেটা সেন্টারের মতো ভবিষ্যতের সেক্টরগুলিতে দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকা বিনিয়োগ প্রমাণ করে যে উত্তরপ্রদেশ এখন তার পুরনো 'বিমারু' (BIMARU) তকমা থেকে বেরিয়ে এসেছে। আজ উত্তরপ্রদেশ দেশের শীর্ষ শিল্প এবং ডিজিটাল রাজ্যগুলির মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে এবং ক্রমাগত নতুন উচ্চতা স্পর্শ করছে। যোগী সরকারের নীতি এবং দূরদৃষ্টি উত্তরপ্রদেশকে শুধুমাত্র বিনিয়োগের পছন্দের রাজ্যই নয়, বরং একটি 'উত্তরপ্রদেশ ব্র্যান্ড' হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।