Cyberattacks: আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বর্তমানে হ্যাকারদের আরও উন্নতমানের সাইবার আক্রমণ চালাতে সাহায্য করছে। যা সুরক্ষা ব্যবস্থার জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বিভিন্নক্ষেত্রে কাজকে অনেক সহজ করে দেয়। তবে এটিকে হ্যাকাররা আবার সাইবার অ্যাটাক তৈরি করতে কাজে লাগাচ্ছে। আর এই সাইবার আক্রমণগুলি শনাক্ত করাই রীতিমতো কঠিন হয়ে যাচ্ছে এবং এগুলিকে থামানো যেন আরও কঠিন হয়ে পড়ছে। এআই-এর এই অন্ধকার দিকটি কীভাবে আমাদেরকে ডিজিটাল থ্রেটের সামনে ফেলছে, তা একবার দেখে নেওয়া যাক।
হ্যাকাররা এআই ব্যবহার করে ব্যক্তিগত পরিসরে একটি সাইবার থ্রেট তৈরি করছে। ডিপফেকের মাধ্যমে তারা কণ্ঠস্বর এবং মুখের নকল করে মানুষ বা একটি প্রতিষ্ঠানকে প্রতারিত করতে পারে।
25
পুরানো সুরক্ষা ব্যবস্থা কেন কার্যকরী হচ্ছে না?
পুরানো সাইবার সুরক্ষা ব্যবস্থা কেবল অতীতের অপরাধ সম্পর্কে অবহিত। তারা পরিচিত হুমকির তালিকার সঙ্গে মিলে যাওয়া ফাইল এবং লিঙ্কগুলিকে স্ক্যান করতে পারে। কিন্তু নতুন পরিস্থিতিতে তারা মানিয়ে নিতে পারে না। অন্যদিকে, এআই তার পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে শেখে এবং তা বিশ্লেষণ করে ও সেই সুরক্ষাকে ভাঙার চেষ্টা করে।
35
এআই বনাম এআই: একটি নতুন সাইবার সুরক্ষার যুদ্ধ!
এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য, সাইবার সিকিউরিটি টিমগুলিও বর্তমানে এআই ব্যবহার করছে। থ্রেটগুলি রিয়েল-টাইমে শনাক্ত করার জন্য এআই একটিম সিকিউরিটি সিস্টেম তৈরি করেছে। এই সিস্টেমগুলি থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করআ হয় এবং দ্রুত কার্যকরী হয়।
আর্থিক, স্বাস্থ্য এবং সরকারি ওয়েবসাইটগুলি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক বেশি পরিমাণ ব্যক্তিগত তথ্য থাকায় এগুলিু হ্যাকারদের প্রধান লক্ষ্য। সাইবার অপরাধীরা এই তথ্য ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট অ্যাক্সেস করতে বা জাল লেনদেন করতে পারে। তাই এই ক্ষেত্রগুলিতে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।
55
নিয়মিত পরীক্ষা এবং হুমকি থ্রেট চেক করা জরুরি
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড, টু-স্টেপ অথেনটিকেশন এবং ডেটা সিকিউরিটি সিস্টেম এখন কোনও ঐচ্ছিক বিষয় নয়। তা হল বাধ্যতামূলক। প্রতিষ্ঠানগুলিকে তাদের সুরক্ষা ধারাবাহিকভাবে উন্নত করতে হবে। টেক সংস্থাগুলিকে সতর্ক থাকতে হবে এবং নিজেদের সুরক্ষার জন্য নতুন সমস্ত উপায় ব্যবহার করতে হবে। এই যুদ্ধে জয়ী হতে গেলে উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োজন।