আমেরিকার একটি ন্যানো টেকনোলজি কোম্পানি এবার আবিষ্কার করলো এমন একটি কাগজ যা কিনা চুলের চেয়েও পাতলা।এই পাতলা কাগজ নিমেষেই যেকোনো পৃষ্ঠকে বানিয়ে ফেলতে পারে শক্তির উৎস।
পাতলা একটি কাগজ যেটা কয়েক নিমেষেই যেকোনো পৃষ্ঠকে বানিয়ে ফেলতে পারে শক্তির উৎস। এমন মজাদার পাতলা কাগজ আবিষ্কার করে বিদ্যুৎ শিল্পে বিপ্লব এনে দিলো আমেরিকা। আমেরিকার একটি ন্যানো টেকনোলজি কোম্পানি এবার আবিষ্কার করলো এমন একটি কাগজ যা কিনা চুলের চেয়েও পাতলা। কিন্তু এটিকে কোনো হালকা কাপড়ের সঙ্গে আটকে সেটিকে বানানো যেতে পারে বিদ্যুতের উৎস।এই প্রথম কার্বন ছাড়া বিদ্যুতের উৎস তৈরী করে অনন্য নজির গড়লো আমেরিকা।
জানা গেছে এই পাতলা কাগজ থেকে যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় সেটি যেকোনো সৌর প্যানেলে উৎপন্ন বিদ্যুতের থেকে ১৮ গুন কম হলেও। এটি অত্যন্ত সহজলভ্য। অর্থাৎ এই পাতলা কাগজ থেকে যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে ওয়াট প্রতি তা উৎপাদনে খরচ পড়বে ১ ডলার। এতো সস্তা হাওয়ায় এটি যেকোনো শ্রেণীর মানুষ কিনে ব্যবহার করতে পারবেন। এমনকি এরোপ্লেন বা সমুদ্রে ভেসে থাকে এমন জাহাজগুলিতেও এটি ব্যবহৃত হতে পারবে। কোনো প্রান্তিক অঞ্চল যেগুলো বন্যা কবলিত বা যে অঞ্চলগুলি প্রাকৃতিক দুর্যোগের স্বীকার সেই অঞ্চলগুলিতেও এগুলি নিয়ে গিয়ে ইমার্জেন্সি বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়া যেতে পারে।
সৌর প্যানেল গুলিতে যে সিলিকন পদার্থগুলি ব্যাবহার করা হয় সেগুলো ভঙ্গুর প্রকৃতির তাই সেগুলো যাতে না ভেঙে তার জন্য অ্যালুমিনিয়ামের সিট দিয়ে তাদের ঢেকে রাখতে হয়। এমনকি অতিরিক্ত সূর্যের তাপে এই পদার্থগুলি যাতে নিজেদের মধ্যে কোনোরকম কোনো বিক্রিয়া না করতে পারে তার জন্য আলাদারকম প্যাকেজিংও ব্যবহার করা হয়। তাই এই সৌর প্যানেল তৈরির খরচ অনেক বেশি পরে। কিন্তু বর্তমানে আবিষ্কৃত এই কাগজটিতে সেইরকম ঝামেলা না থাকায় এটি খুব কম তাকে তৈরী করে কম তাকে ইনস্টল করা যাবে বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের।
আরও পড়ুন
ফের পূর্ব সাগরে উত্তর কোরিয়ার মিসাইল পরীক্ষা, কোরিয় উপদ্বীপে সামরিক উত্তেজনা