হোয়াটসঅ্যাপের এক মুখপাত্র একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, এই অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও তথ্যপ্রমাণ দেওয়া হয়নি। whatsapp authority reassured the users about data leak controversy
হোয়াটসঅ্যাপের ডেটা সম্পর্কে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসেই একটি চাঞ্চল্যকর খবর পেশ করেছিল আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সাইবার নিউজ। এই সংস্থার পক্ষ থেকে একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল যে, কোটি কোটি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য এখন সঙ্কটে। কারণ, হ্যাকারদের তরফে দাবি করা হয়েছে যে, বিশ্বব্যাপী হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রায় ২৫ শতাংশের ব্যক্তিগত তথ্যই এখন তাদের হাতে। ভারত-সহ বিশ্বের প্রায় ৮৪টি দেশের প্রায় পঞ্চাশ কোটি ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় এই প্রতিবেদনে।
শুধুমাত্র তথ্য বেহাত হওয়াতেই শেষ নয়, হ্যাকারদের একটি গোষ্ঠী অনলাইনে সমস্ত মানুষের তথ্য বিক্রি করে দিচ্ছে বলেও দাবি করা হয় রিপোর্টে। তবে সংবাদ সংস্থা এই দাবি করলেও, হোয়াটসঅ্যাপ থেকে কোনও ধরনের ‘ডেটা লিক’ বা তথ্যচুরির প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছেন এই যোগাযোগ মাধ্যম সংস্থার এক মুখপাত্র।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, একটি ‘হ্যাকিং কমিউনিটি ফোরাম’ দাবি করেছে, তাদের কাছে আটচল্লিশ কোটি সত্তর লক্ষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর তথ্য রয়েছে। সেই তথ্য বিক্রি করা হচ্ছে। রিপোর্ট ঘেঁটে দেখে বোঝা যাচ্ছে যে, হ্যাকারদের দাবি সত্যি হওয়া আশ্চর্যের কিছু নয়। সমগ্র বিশ্বে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন প্রায় দু’শো কোটি মানুষ। অর্থাৎ, হ্যাকারদের দাবি যদি সত্যি হয়, তাহলে বিশ্বব্যাপী হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রায় ২৫ শতাংশের ব্যক্তিগত তথ্য প্রভূত ঝুঁকির মুখোমুখি।
ভারতের নাগরিকরাও হ্যাকারদের নজরে পড়ে গিয়েছেন বলে সূত্রের দাবি। ভারত থেকে থেকে ষাট লক্ষেরও বেশি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনে। ফাঁস হওয়া ফোন নম্বরগুলি যেমনভাবে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হতে পারে, তেমনই সেই তথ্য কাজে লাগিয়ে ‘ফিশিং’-এর মতো প্রতারণামূলক কাজও করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা।
এই প্রসঙ্গে, হোয়াটসঅ্যাপের এক মুখপাত্র একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, এই অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও তথ্যপ্রমাণ দেওয়া হয়নি। যে সমস্ত স্ক্রিনশটের উপর ভিত্তি করে সংবাদ সংস্থাটি এই প্রতিবেদন পেশ করেছে, সেই রিপোর্টগুলিরও সত্যতা যাচাই করা হয়নি। এর পরেই সংবাদ সংস্থার এক কর্তা টুইট করে জানান, হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক হওয়ার কোনও প্রমাণ তাঁরা পাননি।
আরও পড়ুন-
হোয়াটসঅ্যাপে আপনার ব্যক্তিগত তথ্যগুলি কি সুরক্ষিত? হ্যাকারদের কাছে রয়েছে বিস্ফোরক ডেটাবেস
স্নাতকোত্তর না পড়েই পিএইচডি? জাতীয় শিক্ষা নীতির অধীনে ইউজিসি-র নয়া নিয়ম, সম্মত হচ্ছেন না শিক্ষাবিদরা
রাজধানী কিভে ফের রাশিয়ার ড্রোন হামলা