
eSIM Fraud: প্রতারণার জাল যেন দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবার ই-সিম কার্ডকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে প্রতারণা চক্র। বলা চলে, প্রতিদিন নতুন নতুন স্ক্যামের পদ্ধতি যেন সামনে আসছে। সেইরকমই একটি নতুন সাইবার জালিয়াতি হল ই-সিম কার্ড অ্যাক্টিভেশন প্রসেস (eSIM fraud)। বিভিন্ন টেলিকম কোম্পানির ই-সিম কার্ড অ্যাক্টিভেশনের নামে ব্যাপক জালিয়াতি চলছে বলে সাইবার সুরক্ষা সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই জনসাধারণকে সতর্ক করে দিয়েছে (esim fraud protection)।
আসল মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে, মুহূর্তের মধ্যে অ্যাকাউন্টের সমস্ত টাকা গায়েব করে দেওয়া হচ্ছে এই জালিয়াতির মাধ্যমে।
ই-সিম কার্ড অ্যাক্টিভেশন স্ক্যাম ঠিক কীভাবে কাজ করে, তা এজবার জেনে নেওয়া যাক। কাস্টোমার কেয়ার থেকে প্রতারকরা সাধারণ মানুষকে ফোন করেন। তারপর কৌশলে ই-সিম নেওয়ার জন্য রাজি করিয়ে ই-সিম অ্যাক্টিভেশন রিকোয়েস্ট পাঠাতে বলা হয়। এরপর রিকোয়েস্ট পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে আপনার বর্তমান সিম কার্ডের নেটওয়ার্ক চলে যায় এবং প্রতারকদের কাছে থাকা ই-সিমটি সক্রিয় হয়ে যায়।
তারপর ফোন কল, মেসেজ এবং ওটিপি সবই প্রতারকরা পেয়ে গেলেই আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে যেতে পারে। এই ধরনের সাইবার প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পেতে সতর্ক থাকার জন্য সাইবার সুরক্ষা সংস্থাগুলি জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলছে।
প্রতারণা সম্পর্কে সচেতন থাকুন।
অপরিচিত নম্বর থেকে আসা ফোন কল এবং মেসেজ এড়িয়ে চলুন।
বিশ্বস্ত সূত্র থেকে আসা লিঙ্ক ছাড়া অন্য কোনও লিঙ্কে ক্লিক করবেন না।
ই-সিম পরিষেবার জন্য শুধুমাত্র টেলিকম অপারেটরদের অফিশিয়াল কাস্টোমার কেয়ার ব্যবহার করুন।
মোবাইল নেটওয়ার্ক চলে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে টেলিকম কোম্পানি এবং ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
প্রতারকরা চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে তাদের কথায় কান দেবেন না।
এই ধরনের সাইবার প্রতারণার শিকার হলে অথবা কোনও ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে ১৯৩০ নম্বরে অথবা www.cybercrime.gov.in ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সাইবার ক্রাইমকে পুরো বিষয়টি জানান।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।