এখন বেশিরভাগ মানুষই টেকনোলজি নির্ভর। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এখন সবারই টেকনোলজির দরকার পড়ে। মানুষ এখন অনেক বেশি টেকনোলজি নির্ভর হয়ে উঠেছে। টেকনোলজি ছাড়া এক মুহূর্তও কেউ থাকতে পারেন না। আর করোনা পরিস্থিতির মধ্যে মানুষ আরও বেশি টেকনোলজি নির্ভর হয়ে পড়েছেন।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে এবার। অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকার বহু প্রতিক্ষিত সেমিকন্ডাক্টর ফিল্ডে (Semiconductor Field) ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার (Union Cabinet) তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের মাধ্যমে আগামীদিনে চিনকে (China) পিছনে ফেলে টেকনো জায়েন্ট হয়ে উঠতে পারে ভারত। যার ফলে অন্য দেশের উপর আর খুব বেশি নির্ভর করতে হবে না ভারতকে (India)।
এখন বেশিরভাগ মানুষই টেকনোলজি নির্ভর (Technology Dependent)। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এখন সবারই টেকনোলজির দরকার পড়ে। টেকনোলজি ছাড়া এক মুহূর্তও কেউ থাকতে পারেন না। আর করোনা পরিস্থিতির (Corona Situation) মধ্যে মানুষ আরও বেশি টেকনোলজি নির্ভর হয়ে পড়েছেন। কারণ এখন স্কুল থেকে শুরু করে অফিস সবই চলে বাড়িতে। তার ফলে আরও বেশি করে টেকনোলজির প্রয়োজন হয়ে পড়ে। ইলেক্ট্রনিকস জিনিস, কম্পিউটার ও ফোন ছাড়া এখন যেন চলেই না। আর এই ইলেকট্রনিকসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পার্ট হচ্ছে সেমিকন্ডাক্টর চিপসেট (Semiconductor chipset)। মোবাইল, ল্যাপটপ, টিভি, ক্যামেরা, রেল ইঞ্জিন, বিমান, গাড়ি এমনকি এখন স্মার্ট ফ্যান, লাইটেও সেমিকন্ডাক্টর ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুন- ক্রিসমাসে কার লোনে বিশেষ অফার স্টেট ব্যাঙ্কের, সম্পূর্ণ ছাড় প্রসেসিং ফি-তে
যত দিন যাচ্ছে দেশে ইলেকট্রনিকসের চাহিদা আরও বাড়ছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৪-২০২০ সালের মধ্যে এই ৭ বছরে ভারতে ৭৫ বিলিয়ন ডলারের ইলেকট্রনিকস তৈরি হয়েছে। আর সমীক্ষা বলছে, আগামী দিনে সেই সংখ্যা আরও বাড়বে। আগামী ৬ বছরে এর চাহিদা ৩০০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত হয়ে যাবে। ভারতীয় মুদ্রায় সেই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ২০ লাখ কোটি টাকা। ডিজিটাল ইন্ডিয়া নিয়ে প্রচার শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর ডিজিটাল ইন্ডিয়া তৈরিতে যেসব ইলেকট্রনিকস লাগে তাতে সেমিকন্ডাক্টর গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। ফলে এই খাতে বিনিয়োগ করলে আত্মনির্ভর ভারতের দিকে আরও একটা পদক্ষেপ এগোবে দেশ।
আর সেই কথা মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার তরফে সেমি কনডাক্টর ফিল্ডে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করল। এরপর আরও ৩০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ আসবে বলে জানা গিয়েছে। ভারতের অর্থনীতিকে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করবে এই সেক্টর। আসলে এই মুহূর্তে ভারত সেমিকন্ডাক্টরের প্রায় পুরোটাই বিদেশ থেকে আমদানি করে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ পর্যন্ত ভারত সেমিকন্ডাক্টর আমদানি করেছে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলারের। আর ২০২৫ সালে তার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৬০ বিলিয়ন ডলার। তাই এই ক্ষেত্রে সঠিক বিনিয়োগ করলে ২০২৫-এর মধ্যে আমাদের জিডিপি ৫ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত ছুঁতে পারে।
সেমিকন্ডাক্টর চিপসেট আকারে যতটা ছোট হবে ততই এর কোয়ালিটি ভালো হবে। এই মহূর্তে মোহালিতে ১৮০ ন্যানোমিটার প্ল্যান্ট রয়েছে। পাশাপাশি দেশের বেসরকারি কোম্পানিগুলো এই কাজে এগিয়ে এসেছে। টাটা গ্রুপ ৩০০ মিলিয়ন ডলারের একটি সেমিকন্ডাক্টর চিপসেট প্ল্যান্ট তৈরি করতে পারে। আর সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি তৈরির ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে সবচেয়ে ভালো স্থানে রয়েছে ভারত। এতদিন সেমিকন্ডাক্টর চিপসেটের জন্য ভারত, আমেরিকা, ইউরোপ, চিন, তাইওয়ান ও দক্ষিণ কোরিয়ার উপর নির্ভর করত। আসলে গোটা এই বিষয়গুলি যদি দেশের মধ্যেই হয়ে যায় তার ফলে আমদানি খরচ অনেকটাই কমে যাবে। এর ফলে চিনকে পিছনে ফেলে অনেকটাই এগিয়ে যাবে দেশ।