
এই বিমানটি তার অনন্য স্টিলথ ক্ষমতা, চমৎকার চালচলন এবং তুলনামূলকভাবে কম খরচের কারণে অন্য সকল বিমানকে পিছনে ফেলে দিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। এর গতি 2 Mach পর্যন্ত বৃদ্ধি পায় এবং রাশিয়ান বিমান বাহিনী দ্রুত এটিকে অন্তর্ভুক্ত করছে। আমেরিকার F-35 Lightning II এবার দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেছে। যদিও এর স্টিলথ প্রযুক্তি অত্যন্ত উন্নত এবং প্রতিটি কোণ থেকে এটি ধরা প্রায় অসম্ভব, এর গতি এবং সুপারক্রুজ ক্ষমতা Su-57 এর মতো চিত্তাকর্ষক নয়। তা সত্ত্বেও, এটি মার্কিন বিমান বাহিনীর মেরুদণ্ড হিসাবে রয়ে গেছে।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে চীনের জে-২০ মাইটি ড্রাগন, যা দেশের প্রথম ৫ম প্রজন্মের স্টিলথ ফাইটার। এর নকশা আমেরিকান প্রযুক্তির অনুলিপি বলে অভিযোগ করা হলেও এর দূরপাল্লার ক্ষমতা এটিকে বিশেষ করে তুলেছে। চীন এর ২০০ টিরও বেশি ইউনিট তৈরি করেছে। একই সময়ে, আমেরিকার আরেকটি শক্তিশালী বিমান, এফ-২২ র্যাপ্টর, যাকে একসময় 'অদৃশ্য শিকারী' বলা হত, এখন এই তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে। এর স্টিলথ এবং চালচলন এখনও অতুলনীয় তবে সীমিত অস্ত্র ক্ষমতা এবং অতিরিক্ত ব্যয় এর দুর্বলতা।
এর পরে আসে এফ-১৫এক্স ঈগল II, যা অন্য যেকোনো ফাইটারের চেয়ে বেশি অস্ত্র বহন করার ক্ষমতা রাখে। স্টিলথ ছাড়াই, এটি ম্যাক ২.৫ গতিতে শত্রুর অঞ্চলে প্রবেশ করতে পারে এবং ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে। একই সময়ে, এফ-১৬ ফাইটিং ফ্যালকন এখনও বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত ফাইটার জেট এবং ক্রমাগত আপগ্রেডের কারণে এটি তার উপযোগিতা বজায় রাখে। রাশিয়ার Su-35 বিমানটিও এই তালিকায় সপ্তম স্থানে রয়েছে, যা গোপন না হলেও, থ্রাস্ট ভেক্টরিং ক্ষমতা এবং ডগফাইটে আশ্চর্যজনক তত্পরতার জন্য পরিচিত। এর পরে, ইউরোপের ইউরোফাইটার টাইফুন অষ্টম স্থানে রয়েছে, যা এখন বহুমুখী ক্ষমতায় সজ্জিত।
নবম স্থানে রয়েছে আমেরিকার F/A-18E/F সুপার হর্নেট, যা নৌবাহিনীর প্রধান যুদ্ধবিমান এবং ভারী পেলোড সহ দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করতে সক্ষম। ভারতের গর্ব, ফ্রান্সে তৈরি রাফায়েল, এই তালিকায় দশম স্থানে রয়েছে। রাফায়েল একটি 'সর্বনিয়ন্ত্রিত' নকশা দিয়ে তৈরি যা এটিকে একই সাথে সব ধরণের যুদ্ধ মিশনে সক্ষম করে তোলে। এর ইলেকট্রনিক যুদ্ধবিমান ক্ষমতা, সেন্সর ফিউশন এবং ভারসাম্যপূর্ণ কর্মক্ষমতা এটিকে একটি নির্ভরযোগ্য যুদ্ধবিমান করে তোলে।