
এলন মাস্কের SpaceX কোম্পানির একটি অংশ Starlink, ভারতে স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা শুরু করার জন্য প্রস্তুত। এই নতুন ইন্টারনেট পরিষেবা, Reliance Jio এবং Bharti Airtel-এর মতো শীর্ষস্থানীয় ব্রডব্যান্ড পরিষেবা সরবরাহকারীদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
এই প্রকল্পের জন্য ভারতে প্রায় ৮,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। এটি ভারতীয় আকাশে ৭০০-৭৫০ টি নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথ (LEO) স্যাটেলাইট স্থাপনে সহায়তা করবে। প্রাথমিকভাবে একজন গ্রাহকের জন্য ব্যয় বেশি হলেও, ব্যাপক ব্যবহারের ফলে হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমতে পারে। এটি টেলিকমিউনিকেশন কৌশলগুলিকে রূপান্তরিত করতে পারে, যদিও ডাইরেক্ট-টু-সেলের চ্যালেঞ্জগুলি ওয়্যারলেস পরিষেবায় এর প্রভাবকে বিলম্বিত করতে পারে।
সম্প্রতি JM Financial-এর আয়োজিত বিশেষজ্ঞদের বৈঠকে, Starlink স্যাটেলাইটগুলি ভারতে নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (LEO) স্থাপন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। কোম্পানিটি প্রায় ৭০০-৭৫০ টি LEO স্যাটেলাইট স্থাপন করবে। ভারতীয় বাজারে Starlink বিশাল বিনিয়োগ করেছে। ইন্টারনেট পরিষেবার জন্য প্রায় ৮,০০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এর অর্থ, প্রতিটি স্যাটেলাইটের জন্য প্রায় ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে (প্রতিবেদন অনুযায়ী)। নতুন স্যাটেলাইটগুলির আয়ু প্রায় ৭-৮ বছর, এবং বার্ষিক পরিচালন ব্যয় প্রায় ৩৫০ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছাতে পারে।
Starlink-এর নতুন ইন্টারনেট পরিষেবার ক্ষেত্রে, গ্রাহক প্রাঙ্গনে সরঞ্জাম (CPE) প্রায় ৪০০ মার্কিন ডলার (প্রায় ৩৫,০০০ টাকা) মূল্যে পাওয়া যাবে। তবে, ভারতে এই সরঞ্জামগুলি তৈরি করলে ব্যয় প্রায় ৫০% কমতে পারে। গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য লিজ মডেল বা ভর্তুকি ব্যবহার করা যেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে, কম ব্যবহারকারী বেস সহ মাসিক খরচ ১১,২৫০ টাকা হতে পারে। তবে Starlink যদি ২.৫ মিলিয়ন ব্যবহারকারীতে পৌঁছায়, তবে এই খরচ মাসে ৪৫০ টাকায় নেমে আসতে পারে। এটি স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের স্কেলেবিলিটির উদাহরণ দেয়।
প্রাথমিকভাবে, Starlink B2C ব্যবহারকারীদের লক্ষ্য করে কাজ করছে বলে জানা গেছে। এটি প্রাথমিকভাবে মাসে ২০ ডলার (প্রায় ১৭০০ টাকা) থেকে ২৫ ডলার (প্রায় ২১০০ টাকা) পর্যন্ত পরিকল্পনা চালু করবে। পরে, ব্যাপক বাজারের জন্য এটি মাসে ১০ ডলার (প্রায় ৮৫০ টাকা) এ নামিয়ে আনা হবে। Starlink B2B এবং B2G ক্ষেত্রগুলিকেও লক্ষ্য করে কাজ করছে। এটি Jio এবং Airtel-এর মতো ভারতের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারী টেলিকমিউনিকেশন পরিষেবা সরবরাহকারীদের প্রতিযোগিতা করতে পারে।
ডাইরেক্ট-টু-সেল (D2C) প্রযুক্তি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে মোবাইল সংযোগ প্রদান করতে সক্ষম হলেও বর্তমান কর্মক্ষমতার ভিত্তিতে এটি ঐতিহ্যবাহী মোবাইল নেটওয়ার্কের তুলনায় পিছিয়ে। Airtel এবং Jio-র ওয়্যারলেস ব্যবসা তাদের মূল্যায়নের ৮০% থেকে ৯০% পর্যন্ত তৈরি করে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে তারা বর্তমানে নিরাপদ। D2C প্রযুক্তি ভারতীয় বাজারে পরিপক্ক হতে ৩-৫ বছর সময় লাগতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
একই এককালীন CPE সেটআপ ফি ভারতেও শীঘ্রই আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
Starlink ভারতে তার পরিষেবা চালু করার জন্য প্রস্তুত হওয়ায়, ইন্টারনেটের আধিপত্যের জন্য নতুন যুদ্ধক্ষেত্র আকাশে পরিণত হতে পারে, এবং প্রতিযোগিতা শীঘ্রই তীব্রতর হবে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।