বাড়তি উপার্জন করতে সকলেই চায়
সোশ্যাল মিডিয়ায় যুগে তা অসম্ভবও নয়
শুধুমাত্র পায়ের ছবি দেখিয়ে প্রতি মাসে ২.৯ লক্ষ টাকা আয় করছেন এক ব্যক্তি
কী জাদু আছে তার পদযুগলে
নিয়মিত চাকরির বাইরে অন্য কোনওভাবে কিছু বাড়তি উপার্জন করতে কে না চায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় যুগে তা অসম্ভবও নয়। কিন্তু, শুধুমাত্র পায়ের ছবি দেখিয়ে মাস গেলে ২.৯ লক্ষ টাকা আয় - তাও যে সম্ভব তা দেখিয়ে দিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার ৩৫ বছরের যুবক জেসন স্টর্ম।
এর আগে একজন প্রাপ্তবয়স্ক ওয়েবক্যাম মডেল হিসাবে কাজ করতেন জেসন। একবার তাঁর এক গ্রাহক তাঁকে তার পায়ের তলাটা দেখানোর অনুরোধ করেছিলেন। সেই প্রথম জেসন বুঝতে পারেন তাঁর পায়েই লক্ষ্মী আছে, অর্থাৎ তাঁর পদযুগলই অর্থ উপার্জনের উপায় হতে পারে। এরপরই তিনি ইনস্টাগ্রামে শুধু তাঁর পায়ের ছবি দেওয়ার জন্য একটি অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। এখন, সেই পেজ-এর ফলোয়ারের সংখ্যা ৫০০০-এর বেশি। ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ারের সংখ্যা বাড়ার পর জেসন কিছু অর্থের বিনিময়ে দেখতে হবে এমন কিছু কনটেন্ট দেওয়া শুরু করেছিলেন। তাতে যা সাড়া মিলেছে তাতে প্রতি মাসের শেষে, তিনি ৩,০০০ থেকে ৪,০০০ ডলার মতো আয় করেন।
কিন্তু, কেন তাঁর পায়ের ছবি দেখে তাঁর ফলোয়াররা, কেনই বা টাকা দেয়? জেসন জানিয়েছেন তাঁর ফলোয়ারদের ফুট ফেটিশ রয়েছে অর্থাৎ তাঁরা পা দেখে যৌন উত্তেজনা অনুভব করেন। তাঁরা অর্থ ব্যয় করেন, কারণ সহজে অনলাইনে এ জাতীয় কনটেন্ট পাওয়া যায় না। জেসন জানিয়েছেন তাঁর নিজের-ও ফুট ফেটিশ আছে। তাই তিনি তাদের চাহিদা খুব ভালো বুঝতে পারেন।
সোশ্যাল মিডিয়ার দরুণ এরকম উদ্ভট কাজ করে মোটা অর্থ উপার্জনের ঘটনা অবশ্য এর আগেও শোনা গিয়েছে। ২০১৮ সালে এক ফুট ফেটিশ মহিলা মডেল তাঁর ব্যবহার করা মোজা এবং প্রশিক্ষণের সময় পরা নোংরা জামাকাপড় বিক্রি করেই ৯৫ লক্ষ টাকা উপার্জন করছিলেন। আবার জেনা ফিলিপস নামে এক ২১ বছরের মডেল আছেন, যিনি কুকুর সেজে ক্যামেরার সামনে অঙ্গভঙ্গি করে প্রতি মাসে লাখ টাকার উপর উপার্জন করেন।