সঙ্গীতকক্ষেও চলল গুলি, ফের মার্কিন স্কুলে বন্দুকবাজের হামলায় মৃত এক, আহত অন্তত পাঁচ

  • ফের মার্কিন স্কুলে বন্দুকবাজের হামলা
  • গুরুতর আহত হয়েছে অন্তত পাঁচজন, মৃত এক
  • ক্যালিফোর্নিয়ার সান্টা ক্লারিটার এক স্কুলে হামলা হয়
  • অপরাধী কালো পোশাক পরা এক এশিয় পুরুষ বলে জানা গিয়েছে

amartya lahiri | Published : Nov 14, 2019 6:53 PM IST / Updated: Nov 15 2019, 12:24 AM IST

ফের বন্দুকবাজ হানা দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাই স্কুলে। লস এঞ্জেলেস শহরের উত্তরে ক্যালিফোর্নিয়ার সান্টা ক্লারিটার এই ঘটনায় কারোর মৃত্যুর খবর না পাওয়া গেলেও কমপক্ষে পাঁচ জন আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কালো পোশাক পরা এক এশিয় পুরুষই এই হামলা চালায়। তবে খুব তাড়াতাড়িই তাকে আটকায় পুলিশ। নাহলে বড়সড় বিপর্যয় ঘটতে পারত।

তবে, লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি শেরিফের অফিসের সান্তা ক্লারিটা ভ্যালি শাখা এখনই বিপদ কেটে গিয়েছে বলে মনে করছে না। তারা টুইট করে জানিয়েছে পরিস্থিতি এখনও নিরাপদ নয়। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জেলার অন্যান্য স্কুল এবং হাইস্কুলগুলি এদিনের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এলাকায় প্রচুর পরিমানে নিরাপত্তা কর্মী পাঠানো হয়েছে।  লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি শেরিফের সার্জেন্ট বব বোসি বলেছেন, বন্দুকবাজকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার সবরকম চেষ্টা করা হবে।

ঘটনায় গুরুতর আহতদের মধ্যে অন্তত একজন মহিলা বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া বিদ্য়ালয়ের সঙ্গীতের ঘরে বন্দুকবাজ হামলা চালিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। সেখান থেকে এক গুলিবিদ্ধ জখমকে উদ্ধার করা হয়। তাদের নিকটবর্তী 'হেনরি মায়ো' হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। হাসপাতালের পক্ষে টুইট করে জানানো হয়েছে, গুরুতর অবস্থায় গুলিবিদ্ধ ২ জনকে ইতিমধ্যেই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। বাকি তিনজন হাসপাতালের পথে রয়েছেন।

স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় ওই হাইস্কুলটিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে পুলিশ এসে ঘটনাস্থলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তারাই শিক্ষার্থীদের লাইন করে ধীরে ধীরে স্কুল প্রাঙ্গন থেকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে। আতঙ্কিত হয়ে দৌড়াদৌড়ির সময় বেশ কয়েকজন স্কুল ছাত্র আহত হয়েছে। তাদের ক্যাম্পাসের মাঠে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আপাতত স্কুলের সামনে শুধুই পুলিশ এবং দমকল কর্মীদের ভিড় রয়েছে।

সাম্প্রতিক কয়েক বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বারবারই বন্দুকবাজের হামলার ঘটনা ঘটেছে। বন্দুক নিয়ন্ত্রণ করা এবং নাগরিকদের অস্ত্র সঙ্গে রাখা এবং বহন করার সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে বিতর্কও জারি রয়েছে। এদিনের ঘটনা সেই বিতর্ককে ফের চাগিয়ে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

 

Share this article
click me!