করোনাভাইরাসের উৎপত্তি চিনের উহান ল্যাবে, আবারও দাবি মাইক পম্পেও-র

করোনার উৎপত্তি চিনে 
দাবি মাইক পম্পেওর 
তথ্য পেতে কাজ চলছে 
এটি জৈব অস্ত্রের ঝুঁকি বাড়িয়েছে 
 

Asianet News Bangla | Published : May 19, 2021 5:51 PM IST

এক বছরেরও বেশি সময় কেটে গেছে করোনা-মহামারির কারণে বিধ্বস্ত বিশ্ব। কিন্তু কোথা থেকে এল এই মারাত্ম ছোঁয়াচে জীবাণু- যা দিনে দিনে শক্তি বাড়িয়ে যাচ্ছে- তাই নিয়ে প্রশ্নের অন্ত নেই। প্রথম থেকেই প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন চিনের উহান থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এক বছর সেই একই দাবি করছেন তাঁর পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেয়। প্রাক্তন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেয় বলেছেন চিনের উহান থেকেই যে জীবাণু ছড়িয়ে পড়েছিল তার প্রমান রয়েছে তাঁদের হাতে। 

পম্পেয় বলেছেন চিনের উহানের পরীক্ষাগার থেকেই করোনাভাইরাসের উৎপত্তি। এটি জৈব অস্ত্র ও জৈব সন্ত্রাসবাদের পক্ষে একটি বড় রকম চ্যালেঞ্জ। পম্পে সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকালে বলেছেন চিনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি করোনার উৎস অনেকটাই করার চেষ্টা করেছে।  চিনের ল্যাবগুলিতে কর্মরত চিকিৎসক ও গবেষকদের আড়াল করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও তাঁদের হাতে যথেষ্ট প্রমান রয়েছে। আরও প্রমাণ জোগাড়ে  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাজ করে চলেছেন বলেও জানিয়েছেন প্রাক্তন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেয়। চিনাদের সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলের কাছে যাওয়ারও চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি। তবে চিন সরকার এখনও পর্যন্ত এটিকে আড়াল করা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পম্পেয় বলেছেন উহানের ল্যাব বা অন্য যে কোনও চিনা ল্যাব থেকে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি। তিনি তিনের এই জাতীয় কাজের তীব্র সমালোচনা করেন। 

চিনকে নিয়ে ক্রমাগত প্রশ্ন উত্থাপনকারী করোনার প্রথম ঘটনাটি ২০১৯সালে উহান শহরে সামনে এসেছিল। তারপরই তা গোটা বিশ্বে চড়িয়ে পড়ে। তবে প্রথম থেকেই চিন বিষয়টি অস্বীকার করে যাচ্ছিল। সম্প্রতি করোনার উৎস জানতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি দল চিন সপর করে। কিন্তু তারা জানিয়েছেন তেমন কোনও চিনের হাতে নেই। কিন্তু তারপরেই চিনের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠছেই। 

অস্ট্রেলিয়ার একটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী চিনের উহান থেকেই ছড়িয়ে পড়েছিল করোনা সংক্রমণ। দাবি করা হয়েছে রাসায়নিক অস্ত্র হিসেবেই পরীক্ষাগারে তৈরি করা হয়েছে এই জীবাণু। এক চিনা বিজ্ঞানীও জানিয়েছিলেন এটি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রস্তুতির অঙ্গ। আগে থেকেই তৈরি হচ্ছে তার দেশের সেনা বাহিনী। 

যদিও চিন প্রথম থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দাবি করেছে তাদের কোনও হাত নেই মহামারির জন্য। চিনা বিজ্ঞানীরাও এই নতুন রোগটি সম্পর্কে প্রথম থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে যাবতীয় তথ্য দিয়ে আসছিল। যদিও সেদাবি মানতে নারাজ  ব্রাজিলও। ব্রাজিলের প্রধানও করোনার জন্য চিনকেই দায়ি  করেছে। 
 

Share this article
click me!