আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কে হাসবেন শেষ হাসি, ট্রাম্প না জো বিডন

  • আর কয়েক দিন পরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন
  • মূল প্রতিপক্ষ ট্রাম্প ও বিডন
  • সমীক্ষায় এগিয়ে রয়েছেন বিডন
  • তবে ট্রাম্পেও পাল্লা ভারী হতে পারে 
     

আগামী ৩ নভেম্বর আমেরিকাবাসী ঠিক করবেন পরবর্তী চার বছরের জন্য কে থাকবেন হোয়াইট হাউসে। কেবল সে দেশেই নয়, বিগত কয়েক মাস ধরেই সারাবিশ্বের আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচন। 
জাতীয় পর্যায়ের সমীক্ষা থেকে জনপ্রিয়তার দৌড়ে কে কতটা এগিয়ে বা পিছিয়ে,  তার একটা আন্দাজ পাওয়া যায়। কিন্তু সমীক্ষা যে সব সময়ে মিলেছে, এমন কথা জোড় দিয়ে বলা যায় না। প্রসঙ্গত, ২০১৬-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে সমীক্ষায় ট্রাম্পের থেকে ৩০ লাখ ভোটে এগিয়ে ছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি হেরে যান এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। 
এখন পর্যন্ত যতগুলি সমীক্ষা হয়েছে, তার বেশির ভাগ ফলাফলেই এগিয়ে আছেন জো বাইডেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত কয়েক দিনে তার পিছিয়ে থাকা অবস্থা থেকে কিছুটা এগিয়ে এলেও গত কয়েক সপ্তাহের সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে বাইডেনের প্রতি সমর্থন ৫০ শতাংশের কাছাকছি। আগস্টের প্রথম সপ্তাহের সমীক্ষায় দেখা গেছিল জো বাইডেনের পক্ষে ৪৯ শতাংশ ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে ৪৫ শতাংশ সমর্থন। প্রসঙ্গত, ২০১৬-র নির্বাচন নিয়ে সমীক্ষায় ক্লিনটন ও ট্রাম্পের অবস্থান এতটা পরিষ্কার ছিল না। যদিও করোনার কারণে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে সে দেশে এখনো তেমন তোড়জোড় শুরু লক্ষ্য করা যায় নি। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সক্রিয়তায় কোনও ঘাটতি নেই। 
২০১৬-র নির্বাচন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হিলারি ক্লিনটনের মধ্যে ফারাক মাত্র কয়েক পয়েন্টের। কিন্তু এবারের সমীক্ষায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে; দুই প্রার্থীর মধ্যে ব্যবধান অনেক বেশি। ২০১৬-র নির্বাচনে আরও একটি বিষয় স্পষ্ট বোঝা গিয়েছিল, যে কোন প্রার্থী কত বেশি ভোট পেয়েছেন তার চেয়েও বড় ব্যাপার হল কোন রাজ্যে কোন প্রার্থী কত বেশি ভোট পেয়েছেন। দেখা গিয়েছে বেশির ভাগ রাজ্যেই সাধারণভাবে একই রকমের ভোট পড়ে। কিন্তু কিছু কয়েকটি রাজ্য আছে যেখানে দুজন প্রার্থীর যে কেউ এগিয়ে থাকতে পারেন। আর ঘটনাচক্রে দেখা যাচ্ছে ওই সব রাজ্যই শেষ পর্যন্ত নির্ধারণ করে দিচ্ছে কোন প্রার্থী নির্বাচনে জয়ী আর কে হবেন পরাজিত। 
আমেরিকার যে সব রাজ্য নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করে দেয় সেই সব রাজ্যকে বলা হয় ব্যাটেলগ্রাউন্ড স্টেটস। আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতিতে। এই পদ্ধতি অনুযায়ী প্রত্যেকটি রাজ্যের হাতে থাকে কিছু ভোট। রাজ্যের জনসংখ্যার ওপর নির্ভর করে সেই রাজ্যের কত ভোট। এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যে রাজ্যগুলিকে ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট হিসাবে নির্ধারণ করা হচ্ছে সেগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট রয়েছে টেক্সাসের, ৫৩৮ টি ভোট। অর্থাৎ কোনো প্রার্থীকে জিতিতে হলে তাকে ২৭০টি ভোট পেতে হবে। স্বাভাবিকভাবে প্রার্থীরা ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেটে প্রচারে অনেক বেশি সময় দেন।


এবারের সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত জো বাইডেন এগিয়ে আছেন অ্যারিজোনা, ফ্লোরিডা, মিশিগান, পেনসালভেনিয়, নেভাদা, নিউ হ্যাম্পশায়ার, নর্থ ক্যারোলাইনা, ওহাইও, এবং উইসকন্সিন রাজ্যে। এর মধ্যে অনেকগুলি মূলত শিল্পাঞ্চল। এই তিন রাজ্যে ২০১৬-র নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী ১ শতাংশেরও কম ভোটে জিতেছিলেন। অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার এগিয়ে আছেন জর্জিয়া, আইওয়া এবং টেক্সাস। কিন্তু এখানে ব্যবধান খুব সামান্য। গত নির্বাচনেও এসব রাজ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু ভোটের ব্যবধান ছিল আরও অনেক বেশি। কিন্তু এখন জো বাইডেনের সঙ্গে তার অবস্থান প্রায় সমান সমান।  যদিও নির্বাচনের বাকি এখনও কয়েকদিন। যে কোনো সময় এই ফলাফল উলটে পালটে যেতে পারে। 

Latest Videos


তবে এই সব পরিসংখ্যান থেকে একটা বিষয় বোঝা যাচ্ছে যে কেন ডোনাল্ড ট্রাম্প গত জুলাই মাসে তার নির্বাচনী প্রচারে থাকার সময় তার ম্যানেজার অই জায়গায় ইয়খন প্রচারের সিদ্ধান্ত বদল করতে বলেন। যদিও বেশ কিছুদিন ধরেই ট্রাম্প জনমত সমীক্ষা এবং তার ফলাফলকে ‘ভুয়া’ বলে আখ্যায়িত করে আসছেন। কিন্তু বেটিং সংস্থাগুলি এখনও পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বাতিল করে দেয় নি।কেউ কেউ বলছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফের এক তৃতীয়াংশ জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Share this article
click me!

Latest Videos

Narendra Modi : কুয়েতের সঙ্গে সম্পর্কে জোর ভারতের, দেখুন কী বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
'উল্টো ঝুলিয়ে সোজা করব', এগরার জনসভায় এসে কাকে বললেন Suvendu Adhikari ?
অনলাইনে পুজোর দেওয়ার নামে প্রতারণা! ঘাড় ধরে নিয়ে গেল পুলিশ | Hooghly News Today
'একটা আস্ত অশিক্ষিত...গোটা রাজ্যটাই জঙ্গিদের হাতে' কড়া বার্তা শুভেন্দুর | Suvendu Adhikari
লজ্জা মমতার! জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য এই বাংলা!| Suvendu Adhikari #shorts #shortsvideo #suvenduadhikari