ময়না তদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যা করা হয়েছে, ক্ষোভ বাড়ছে আমেরিকায়

কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু ঘিরে আমেরিকায় জ্বলছে আগুন 
অভিযোগ তাকে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ নির্মমভাবে অত্যাচার করে মেরেছে 
আমেরিকায় চলা বিক্ষোভের মধ্যেই পাওয়া গিয়েছে তাঁর ময়না তদন্তের রিপোর্ট 
হেনেপিন কাউন্টি মেডিক্যাল একজামিনার জানিয়েছে এটা অবশ্যই একটি হত্যাকাণ্ড 

Tapan Malik | Published : Jun 3, 2020 12:02 PM IST / Updated: Jun 03 2020, 05:34 PM IST

শ্বেতাঙ্গ পুলিশের নির্মম অত্যাচারে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু ঘিরে গত এক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে গোটা আমেরিকায়। আর তারই মধ্যে সামনে এল ওই হত্যাকাণ্ডের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট । সেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, হাঁটু দিয়ে ৪৭ বছরের ফ্লয়েডের গলা চেপে ধরেছিল পুলিশ। এর ফলে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তার। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ফ্লয়েডের। এটা অবশ্যই খুনের ঘটনা।
এর আগে, জর্জ ফ্লয়েডের পরিবারের তরফে আলাদা করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল। তাতেও গোটা ঘটনাকে খুন বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। শরীরে অক্সিজেন পৌঁছতে না পারায় তার মৃত্যু হয়েছিল বলে জানানো হয়। 
এ বার হেনেপিন কাউন্টি মেডিক্যাল একজামিনারের দফতরের তরফে যে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেও একই দাবি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, গলায় চাপ পড়ায় কার্ডিয়োপালমোনারি অ্যারেস্টে আক্রান্ত হন জর্জ। এ ছাড়াও জর্জ হৃদরোগজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন এবং তার শরীরে মেথাম্ফেটামাইন ওষুধের উপস্থিতি মিলেছে বলেও জানানো হয় ওই রিপোর্টে। 
তবে গোটা ঘটনাকে খুন বলে উল্লেখ করলেও, ইচ্ছাকৃত ভাবে তাকে খুন করা হয়েছে নাকি অনিচ্ছাকৃত ভাবে, তা বলা সম্ভব নয় বলে জানানো হয়েছে। আট মিনিটের বেশি সময় ধরে এভাবে হাঁটুর চাপে শ্বাসরোধে মৃত্যু হয় ফ্লয়েডের। ময়নাতদন্তের একটি প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে এমনটাই জানিয়েছেন জর্জ ফ্লয়েডের পরিবারের আইনজীবী বেন ক্রাম্প।
তিনি জানান, ঘাড়ের উপর ক্রমাগত হাঁটুর চাপ পড়ায় মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ফ্লয়েডের। একই সঙ্গে তার ওপর পুলিশ কর্মকর্তা চেপে বসে থাকায় নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল তার। বার বার আকুতি জানিয়েছিলেন তিনি। নিঃশ্বাস নিতে পারছেন না বলে কাতর কণ্ঠে জানিয়েছিলেন ফ্লয়েড। কিন্তু ওই পুলিশ কর্মকর্তার মন গলেনি তাতে।
বেন ক্রাম্প এও জানান, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের উপর ভরসা পাওয়া যাচ্ছিল না। ময়নাতদন্তের সরকারি রিপোর্ট নিয়ে তাদের সন্দেহ ছিল। সে কারণে জর্জের পরিবার আলাদা করে বেসরকারিভাবে ময়নাতদন্ত করিয়েছেন। 
 

Share this article
click me!