বিশ্বে করোনা আক্রান্ত দেশগুলির মধ্যে সবার প্রথমে রয়েছে আমেরিকা। মার্কিন মুলুকে আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। যা গোটা বিশ্বের সংক্রমণের তিন ভাবের প্রায় এক ভাগ। মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৯ হাজার ছাড়িয়েছে। কিন্তু কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর উপর এখন বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে গোটা আমেরিকা। করোনা ভয় দূরে সরিয়ে রেখেই মাস্ক পরে পথে নেমেছেন আন্দোলনকারী। এর মধ্যেই একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল। জানা যাচ্ছি আমেরিকার মিনিয়াপোলিসে পুলিশের হাতে মৃত জর্জ ফ্লয়েড স্বয়ং ছিলেন নাকি করোনা পিজিটিভ।
৪৪ বছরের জর্জ ফ্লয়েডের দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। তাতে উঠে এসেছে নানা তথ্য। আর সেই মেডিক্যাল রিপোর্টেই দাবি করা হয়েছে করোনা আক্রান্ত ছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ ফ্লয়েড। ২০ পাতার রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে হেনেপিন কাউন্টি মেডিক্যাল এক্সামিনার্সের অফিস। তাতেই দাবি করা হয়েছে, এপ্রিল মাসের ৩ তারিখ ফ্লয়েডের করোনা পরীক্ষায় ইতিবাচক ফল মিলেছিল। মৃত্যুর পরেও ফ্লয়েডের নাক পরীক্ষা করে তাঁর শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে।
ফ্লয়েডের শরীরে যে করোনাভাইরাস ছিল একথা জানিয়েছেন খোদ হেনেপিন কাউন্টির শীর্ষ পরীক্ষক অ্যান্ড্রেউ বেকার। তবে তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে করোনাভাইরাসের কোনও সংযোগ নেই, একথাও স্পষ্ট জানিয়েছেন বেকার। বরং গত ২৫ মে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার ডেরেক শাভিনের হাঁটুর চাপে শ্বাসরুদ্ধ হয়েই মারা যান কৃষ্ণাঙ্গ নিরস্ত্র ফ্লয়েড।
এদিকে ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর বর্ণবৈষম্যের প্রতিবাদে আমেরিকায় ক্রমেই বাড়ছে বিক্ষোভ। বিশ্বজুড়ে উঠেছে নিন্দার ঝড়। এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত মিনিয়াপোলিস পুলিশের আধিকারিক ডেরেক শাভিন ও তার আরও ৩ সহযোগীর বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে। ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর ২৫ মে মিনিয়াপলিসের এই চারজন কর্মকর্তাকেই বরখাস্ত করা হয়েছিল। এদিকে ফ্লয়েডের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসায় এবার ধৃত ৪ পুলিশ আধিকারিকেরও করোনা পরীক্ষা করা উচিত বলে জানিয়েছেন তার ময়নাতদন্ত করা মাইকেল বেডেন।