'হুয়াওয়ে'-র মাধ্যমেই চিন তৈরি করে 'নজরদারি রাষ্ট্র', ভারতের সিদ্ধান্ত কি তাহলে আত্মঘাতী হবে

চিনের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি সংস্থা 'হুয়াওয়ে'

তাদের মাধ্যমেই নজরদারি চালায় চিনা কমিউনিস্ট পার্টি

এমনটাই দাবি মার্কিন বিদেশমন্ত্রীর

তাহলে ভারতের সিদ্ধান্ত কি আত্মঘাতী হবে

 

amartya lahiri | Published : Jun 25, 2020 6:16 PM IST

'হুয়াওয়ে', চিনের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি সংস্থা। তারা অবশ্যই চিনের 'নজরদারি রাষ্ট্র'-এর অংশ। নজরদারি রাষ্ট্র অর্থাৎ বিদেশি নাগরিকদের তো বটেই, দেশিয় নাগরিকদের উপরও রাষ্ট্রের লজরদারি করা। বৃহস্পতিবার আরও একবার এরকমই দাবি করলেন মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মাইক পম্পেও। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য পম্পেও এর আগে টুইট করে 'হুয়াওয়ে'কে বিধেছিলেন।

এদিন ব্রাসেলস ফোরামের ভার্চুয়াল বৈঠকে তাঁকে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়, 'হুয়াওয়ে', সংস্থা চিনের 'নজরদারি রাষ্ট্রের অংশ' কিনা। এর জবাবে পম্পেও বলেন, সংস্থার সদর দপ্তরের উপরের তলায় চিনা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘাঁটি গেড়ে থাকেন। আর চিনা আইন অনুসারে চাহিদা মতো 'হুয়াওয়ে' চিনা কমিউনিস্ট পার্টি-কে ব্যক্তিগত তথ্য সহ যে কোনওরকম তথ্য সরবরাহ করতে বাধ্য। তিনি বলেন এই বিষয়ে তাঁর কাছে আরও অকাট্য প্রমাণ রয়েছে, যা তিনি জনসমক্ষে প্রকাশ করতে পারবেন না।

এর একদিন আগেই মার্কিন বিদেশমন্ত্রী টুইট করে বলেছিলেন, স্রোত এখম বিশ্বস্ত ফাইভজি বিক্রেতাদের দিকে, হুয়াওয়ে থেকে তা ক্রমশ দূরে চলে যাচ্ছে। মুকেশ অম্বানীর সংস্থা 'রিলায়েন্স জিও'-সহ তিনি টেলিফোনিকা, অরেঞ্জ,টেলস্ট্রা-র মতো বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় টেলিকম সংস্থাগুলির নাম নিয়ে বলেছিলেন এই সংস্থাগুলি 'ক্লিন টেলকোস' বা স্বচ্ছ টেলিকম সংস্থা হয়ে উঠছে। বলেছিলেন, 'এই সংস্থাগুলি সিসিপি-র নজরদারি রাষ্ট্রের অন্যতম অংশ হুয়াওয়ে-র মতো সংস্থার সঙ্গে ব্যবসা করা প্রত্যাখ্যান করছে'।

পম্পেও-র দাবি সত্যি হলে তা ভারতের পক্ষে বেশ উদ্বেগের। গত ডিসেম্বরেই ভারত সরকার হুয়াওয়ে সংস্থা-কে ফাইভজি-র পরীক্ষামূলক পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে। এছাড়া দেশে ফাইভজি প্রযুক্তির পরিকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রায়ত্ব টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল-ও যন্ত্রাংশের ক্ষেত্রে বহুলাংশেই চিনা প্রযুক্তি সংস্থাটির উপরই নির্ভরশীল। তবে গালওয়ানের ঘটনার পর সরকারের পক্ষ থেকে বিএসএনএল-কে হুয়ায়েই-এর যন্ত্রাংশ ব্যবহার না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ডিসেম্বরে এই অনুমোদন দেওয়ার আগে ভারত সরকার-কে বারবার নিষেধ করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। সেই সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের মধ্যে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক কোন্দল চরমে উঠেছিল। ভারত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সেই কোন্দলের অংশ বলেই মনে করেছিল।

Share this article
click me!