শিশুদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ফাইজার ভ্যাকসিনকে অনুমতি দিল জো বাইডেনের সরকার। শুক্রবার আমেরিকার দ্য ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সরকারিভাবে বায়োএনটেক সংস্থার ফাইজারকে জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদন দিয়েছে।
দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণ (Corona Situation) এখন অনেকটাই কম। কিন্তু, তার মধ্যেও তৃতীয় ঢেউ (Corona Third Wave) নিয়ে উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ। আর তৃতীয় ঢেউতে শিশুরাই (Children) সবথেকে বেশি আক্রান্ত হবে বলে সতর্ক করেছিলেন চিকিৎসকরা (Doctor)। তার মধ্যেই এবার বড় পদক্ষেপ করল আমেরিকা (America)। শিশুদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ফাইজার ভ্যাকসিনকে (Pfizer Covid vaccine) অনুমতি দিল জো বাইডেনের (Joe Biden) সরকার। শুক্রবার আমেরিকার দ্য ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ( Food and Drug Administration) সরকারিভাবে বায়োএনটেক সংস্থার ফাইজারকে জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদন দিয়েছে।
এর মাধ্যমে আমেরিকার প্রায় ২ কোটি ৮০ লক্ষ শিশুকে এবার ফাইজারের করোনা টিকা দেওয়া হবে। সব কিছু ঠিকঠাক চললে আগামী সপ্তাহ থেকেই আমেরিকায় ৫ বছর থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়ে যাবে। এর আগে শিশুদের টিকাকরণের ক্ষেত্রে ফাইজারকে অনুমোদন দিয়েছে চিন (China), চিলি (Chile), কিউবা (Cuba) ও আরব আমিরশাহী (United Arab Emirates)। আর এবার সেই তালিকায় প্রবেশ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন- পোপের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ মোদীর, ২০ মিনিটের নির্ধারিত বৈঠক চলল এক ঘণ্টা ধরে
মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এর প্রধান জানেট উডকক (Janet Woodcock) এক বিবৃতিতে বলেছেন, "একজন মা ও চিকিৎসক হিসেবে বলতে পারি, এই অনুমোদনের কতটা প্রয়োজন ছিল। এর জন্য এতদিন অধীর অপেক্ষায় ছিলেন অভিভাবক, পরিচারিকা, স্কুলের কর্মীরা। শিশুদের করোনার টিকা দিতে পারলে স্বাভাবিক জীবনের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাওয়া যাবে।"
আরও পড়ুন- Kim Jong Un: ক্রমশই রোগা হয়ে যাচ্ছেন কিম জং উন, ওজন নিয়ে পেশ গোয়েন্দা রিপোর্ট
শিশুদের উপর ফাইজার টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছিল। সেখানে দেখা গিয়েছে শিশুদের উপর এই টিকা ৯০ শতাংশ কার্যকরী। তবে তার কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। FDA-এর পদক্ষেপের পরই শিশুদের টিকাকরণের জন্য ফাইজার টিকার লক্ষ লক্ষ শিশি পাঠানো শুরু করার পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে। জানা গিয়েছে, নির্দিষ্ট বয়সের শিশুরা তিন সপ্তাহের ব্যবধানে ফাইজার টিকার দুটি ডোজ পাবে।
গতবছর গোটা বিশ্বেই আছড়ে পড়েছিল করোনার প্রথম ঢেউ। সেই সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পায়নি শিশুরাও। তবে প্রাপ্তবয়স্কদের উপর সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলেছিল করোনা। শিশুদের উপর তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। এদিকে আমেরিকায় প্রায় ৮ হাজার ৩০০ শিশু করোনা আক্রান্ত হয়। তার মধ্যে ১৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শিশুদের করোনা সংক্রমণে বিরল লক্ষণ দেখা দিয়েছে। প্রায় ৫ হাজার শিশু আক্রান্ত হয়েছে মাল্টিসিস্টেম ইনফ্লেমেটরি সিন্ড্রোম যা করোনা পরবর্তী লক্ষণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই রোগের যথাযথ চিকিৎসা বা ওষুধও নেই বলে দাবি চিকিৎসকদের। এই পরিস্থিতিতে আবার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছিল স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সেখানে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার পরিমাণ সবথেকে বেশি বলে দাবি করা হয়েছে। আর তাই সেই ঢেউ আছড়ে পড়ার আগেই যাতে শিশুদের সংক্রমণে রাশ টানা যায় তার জন্যই এবার ফাইজারকে জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদন দিল আমেরিকা।