পুরনো বাড়ি ভেঙে নতুন বাড়ি করার বরাত পেয়েছিলেন এক ঠিকাদার
ফ্লোরবোর্ড তুলতেই নিচ থেকে পাওয়া গেল বেশ কয়েকটি কাঁচের জার
তার ভিতরে সংরক্ষিত মানুষের জিভ আর ভ্রূণ
কোনও বড় অপরাধ কি জড়িয়ে রয়েছে এর সঙ্গে
পুরনো বাড়ি ভেঙে নতুন বাড়ি তৈরি করা হবে। তারজন্য়ই বরাত দেওয়া হয়েছিল এক ঠিকাদারকে। কাজ চলছিল ঠিকঠাকই। সমস্যা হল ফ্লোরবোর্ড, অর্থাৎ বাড়ির নিচের কাঠের পাটাতনগুলি তুলতেই। নিচ থেকে পাওয়া গেল ছয়টি কাচের জারে সংরক্ষণ করা মানুষের জিভ। আর একটি জারে সংরক্ষিত একটি মানব ভ্রূণ। বিস্মিত ঠিকাদার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ-এ খবর দেন। মার্কিন যুক্তরাষ্টের ফ্লেরিডার ঘটনা। এই নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
ফ্লোরিডা পুলিশ জানিয়েছে, জারগুলি প্রথম দেখাতেই বোঝা গিয়েছিল সেগুলি বেশ পুরনো। প্রত্যেকটি জারের গায়ে নাম এবং তারিখ লেখা লেবেল আঁটা রয়েছে। সেই তারিখ অনুযায়ী কোনওটিই ৫০ বছরের কম পুরনো নয়। প্রথম দেখায় পুলিশ মনে করেছিল এরসঙ্গে নিশ্চিতভাবে কোনও অপরাধ জড়িয়ে রয়েছে। বিশেষ করে যেভাবে মান-তারিখ দিয়ে জারগুলিতে লেবেল আঁটা, তেমনটা সিরিয়াল কিলারদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। ফ্লোরবোর্ডের নিচ থেকে পাওয়াতেই সন্দেহটা আরও দৃঢ় হয়েছিল।
আরও পড়ুনন - ফেবিকুইক দিয়ে স্ত্রীর গোপনাঙ্গ সিল করার চেষ্টা, 'বিয়ে বাঁচানো' সাফাই দিলেন স্বামী
পরে তদন্তে জানা যায়, ওই বাড়িতে আগে ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ অফ ডেন্টিস্ট্রির ওরাল মেডিসিনের এক অধ্যাপক থাকতেন। তাঁর নাম রোনাল্ড এ বোগম্যান। খোঁজখুঁজি করতে গিয়ে পুলিশ তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী-এর সন্ধান পায়। তাঁর দাবি বোগম্যান একদিন তাঁর কাজের জায়গা থেকে জারগুলি বাড়িতে এনেছিলেন। তারপর থেকে তাঁরা জারগুলির কথা পুরোপুরি ভুলেই গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন - করোটি কেটে চলছে মস্তিষ্কের অপারেশন, সেই অবস্থায় বেহালায় সুর তুললেন রোগী, দেখুন
বোগম্যানের প্রাক্তন স্ত্রীই পুলিশ-কে জানান, তিনি বর্তমানে ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমিরেটাস অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন। মুখের বিভিন্ন ঘা এবং মুখের ক্যান্সারের বিষয়ে তিনি গবেষণা করেন। বোগম্যান-ও মেনে নিয়েছেন জারগুলি তিনিই গবেষণাগার থেকে এনেছিলেন। তাঁর দাবি যাতে শীতল থাকে, তার জন্যই তিনি বাড়ির মেঝের নিচে রেখেছিলেন জারগুলি-কে। আরও গবেষণার জন্য এগুলি ব্যবহার করার পরিকল্পনা ছিল তাঁর।
আরও পড়ুন - জাম্বোবান-এর পুনর্জন্ম উত্তরপ্রদেশে, দাবানলের মতো ছড়াচ্ছে খবর, বাড়ছে পুজোর বহর-ও
পুলিশ, জানিয়েছে বোগম্যান দম্পতি সত্যি কথাই বলছেন বলে তাদের প্রাথমিক অনুমান। কারণ, তারা কখনই কিছু লুকোনোর চেষ্টা করেননি। তাই এর পিছনে কোনও অপরাধের ঘটনা রয়েছে বলে মনে করছে না ফ্লোরিডা পুলিশ। তবু তারা ঝুঁকি নিতে চায় না। বোগম্যান দম্পতি যে বিবৃতি দিয়েছেন তা সব সত্যি কিনা মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে নমুনাগুলি প্রকৃতপক্ষেই বোগম্যানের গবেষণার জন্য দরকারি ছিল কিনা তাও নির্ধারণের চেষ্টা করা হচ্ছে।