মহাকাশে বাহুবলী ভারত, তুলোধনা করল চটে লাল নাসা

বিজ্ঞানীদের মতে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০০ কিমি. উপরে বায়ুমন্ডলের স্তর অপেক্ষাকৃত কম গঢ় হওয়ায় এখানে অভিকর্ষ বল কাজ করে না। এখানেই ঘুরে বেড়াচ্ছে মাইক্রোস্যাটের ভাঙা টুকরো। 

arka deb | Published : Apr 22, 2019 12:48 PM IST


জল-স্থল নয়। মহাকাশ দূষণের অভিযোগে ভারতকে এক হাত নিল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।  নাসার অ্যা়ডমিনিস্ট্রেটর রীতিমতো সাংবাদিকদের ডেকে জানিয়ে দিল, ভারতের কার্যকলাপ বৃহত্তর বিপদ ডেকে আনছে মহাকাশে।

লোকসভা ভোটের আগেই  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফলাও করে জানান দিয়েছিলেন  মিশন শক্তির কথা। জানানো হয়েছিল ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিডরো)এবং মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)-র যৌথ উদ্যোগে তৈরি হওয়া অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল মাইক্রোস্যাট নামক উপগ্রহকে ধ্বংস করবে। হয়েছেও তাই।

কিন্তু মহাশূণ্যে এই বাহুবলীর মতো বিচরণকে ভাল চোখে দেখছে না নাসা। নাসার প্রধন জিম ব্রিডেনস্টিনের মতে, এর ফলে মহাকাশে বড় বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে।

সাংবাদিক সম্মেলন থেকেই তিনি বলেন, "এই ঘটনা ন্যাক্কারজনক। ইতিমধ্যেই ২৪ টি উপগ্রহের ভাঙা টুকরোকে আমরা চিহ্নিত করেছি।  এরা যে কোনও মুহূর্তে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ধাক্কা মারতে পারে। ‌"

বিজ্ঞানীদের মতে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০০ কিমি. উপরে বায়ুমন্ডলের স্তর অপেক্ষাকৃত কম গঢ় হওয়ায় এখানে অভিকর্ষ বল কাজ করে না। এখানেই ঘুরে বেড়াচ্ছে মাইক্রোস্যাটের ভাঙা টুকরো। ভয়ের কারণ এইখানেই বিশৃঙ্খল ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে আরও কয়েক লক্ষ 'স্পেস ডেব্রি' বা নানা সময়ে এই ধরনের উৎক্ষেপনের ফলে তৈরি হওয়া মহাকাশ বর্জ্য। এই বর্জ্য মাত্র ৩৭০ কিমি দূরত্বে থাকা স্পেস স্টেশনে আছড়ে পড়লে সামাল দেওয়া মুশকিল হবে।

প্রসঙ্গত, গঙ্গা দূষণ রোধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তথ্য বলছে প্রতিশ্রুতিও সার। আজ পর্যন্ত কোনও মিটিং-ই করেনি দূষণ রোধের জন্য তৈরি হওয়া কমিটি ন্যাশানাল গঙ্গা কাউন্সিল।  স্থল জল তো ছিলই, এবার অন্তরীক্ষও নোংরা করে আন্তর্জাতিক মহলে সমলোচিত হলে 'স্বচ্ছ ভারতের" রূপকার।

Share this article
click me!