অক্টোবরে জন্ম গ্রহণ করেছেন এই শিশুকন্যা। নাম মলি গিবসন। কিন্তু পৃথিবীতে আসতে সে পার করে দিল দিল নয় নয় করে ২৭টি বসন্ত। যদি সঠিক সময় তার জন্ম হত তাহলে এতদিনে তার বয়স হয়েত ২৭। শুনতে একটু অবাক লাগছে তো? তা আবাক লাগারই কথা। কারণ মলি গিবসনের জন্ম হয়েছে ফ্রোজেন এমব্রায়ো বা হিমায়িত ভ্রুণ থেকে।
মলি গিবসনের বাবা মা টিনা ও বেন দীর্ঘ দিন ধরেই নিঃসন্তান ছিলেন। সেই সময় তাঁদের বান্ধ্যত্বের চিকিৎসা চলছিল। সেই সময় তাঁরা ইনবিভিট্রো ফাক্টিলাইজেশন পদ্ধতিতে সন্তানের জন্ম দেওয়ার কথা শোনের। বাইরে থেকে সংগ্রহ করা ভ্রুণ প্রতিস্থান করে সন্তানের জন্ম দেওয়া হয়। সেই সময়ই তাঁরা জাননে পারেন ফ্রোজেন ভ্রুনের কথা। তারপর তাঁরা ভ্রুণ সংরক্ষণ কেন্দ্রে যান। সেখানে থেকেই দুটি হিমায়িত ভ্রুণ সংগ্রহ করেন। দত্তক নেন বললে আরও ভালো হয়। আর সেটি ছিল ১৯৯২ সালের। টিনার এখন বয়স ২৯। অর্থাৎ সঠিক সময় যদি তাঁর সন্তানের জন্ম হত সে এখন টিনার থেকে মাত্র ২ বছরের ছোট হত।
এটাই প্রথম নয়। টিনা আর বেনের প্রথম সন্তানেরও জন্ম হয়েছে হিমায়িত ভ্রুণ থেকে। তার বড় মেয়ের বয়স এখন ৫। স্কুলের শিক্ষিকা টিনা। তাঁর স্বামী সাইবার সিকিউটিরি বিশেষজ্ঞ। দুজনেই দ্বিতীয় সন্তান পেয়ে খুশি। টিনা বলেছেন তিনি প্রথমবার যখন শুনেছিলেন যে বছরের পর বছর ধরে প্রবল ঠান্ডায় তরল নাইট্রোজেনের মধ্যে ভ্রুণ সংরক্ষণের কথা শুনে কিছুটা অবাক হয়েছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছেন তাঁরা একই সঙ্গে দুটি ভ্রুণ দত্তক নিয়েছিলেন। দুটি ভ্রুণ ১৯৯২ সাল থেকে সংরক্ষিত। পরবর্তীকালে ভ্রুণগুলি টিনার গর্ভাশয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রুণ সংরক্ষণ করে এমন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জানিয়েছে তাদের কাছে এক মিলিয়নেরও বেশি হিমায়িত মানব ভ্রুণ সংরক্ষণ করা রয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে টিনার দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হয়েছে সবথেকে দীর্ঘ সময় ধরে হিমায়িত করে রাখা ভ্রুণ থেকে। সেই অর্থে দেরীতে এলেও মালি গিবসন একটি রেকর্ড তৈরি করেই পৃথিবীতে এসেছে।